মুলাদীতে খাস জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাঁধা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

এফএনএস (মোঃ আরিফুল হক তারেক; মুলাদী, বরিশাল) : | প্রকাশ: ১ মার্চ, ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
মুলাদীতে খাস জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাঁধা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

বরিশালের মুলাদীতে খাস জমি দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গলইভাঙা গ্রামে একটি রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছেন ওই গ্রামের খালেক হাওলাদার ও তার লোকজন। এর প্রতিবাধে এবং রাস্তা নির্মাণ শেষ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা। তারা দ্রুত রাস্তা নির্মাণ শেষ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতার দাবিও জানান। 

মুলাদী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান বেলাল জানান, কয়েক বছর আগে দক্ষিণ গলইভাঙা গ্রামের ৫শতাধিক পরিবারের চলাচলের একটি রাস্তা নদীতে ও আরেকটি রাস্তা খালের মধ্যে ভেঙে যায়। পরে ওই গ্রামের মানুষ বিল, বাড়ির মধ্য দিয়ে চলাচল করে আসছে।  বিকল্প রাস্তা নির্মাণের জন্য উপজেলা ও ইউনিয়নে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। পরে এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেন। প্রায় ১৫ দিন আগে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গ্রামের ফারুক হাওলাদারের বাড়ি থেকে আরাফাত আকনের দোকান পর্যন্ত ১৬০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রাস্তা নির্মাণের শেষ পর্যায়ে ২-৩ দিন আগে স্থানীয় খালেক হাওলাদার ও তার লোকজন খাস জমি দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দেন। ফলে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

গ্রামের  বাসিন্দা মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, রাস্তা না থাকায় কেউ অসুস্থ হলে মসজিদের খাটে করে খেজুরতলা বাজার পর্যন্ত নিয়ে গাড়িতে তুলতে হয়। জনভোগান্তি নিরসনে এলাকাবাসী স্বেচ্ছায় টাকা ও জমি দিয়ে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কয়েকজন ব্যক্তি খাস জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই স্থানীয়রা রাস্তার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন এবং সামাজিক কাজে বাঁধা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে খাস জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য দখলদারদে ইতোমধ্যে ২বার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে সরকারি সার্ভেয়ার পাঠিয়ে খাস জমি চিহ্নিত করে রাস্তা নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।