খেলার বয়স তখন ২৪ মিনিট। বসুন্ধরা কিংসের সীমানা থেকে ভেসে আসা একটি লং বল বক্সে মাথা থেকে রিসিভ করতে চেয়েছিলেন দলটির ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। বিপদ বুঝে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন। সংঘর্ষে দুইজনই লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। রেফারি সুজনকে লাল কার্ড দেখালে বিপদ নেমে আসে মোহামেডানের। শেষ পর্যন্ত ১০ জন নিয়ে টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন কিংসকে ১-০ গোলে হারিয়ে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ফেরে গতবারের রানার্সআপরা। এই তো গত মাসে মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট চ্যালেঞ্জ কাপে এগিয়ে গিয়েও কিংসের কাছে ৩-১ গোলে হার মানতে হয়েছিল মোহামেডানকে। দুই সপ্তাহের মাথায় মোহামেডান সেই হারের প্রতিশোধ নিলো নিজেদের হোমভেন্যু কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরন্দ্রেনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় রাউন্ডে এই দুর্দান্ত জয় মোহামেডানকে টেবিলে এগিয়ে দিলো তাদের তুমুল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। কেবল লাল কার্ডই নয়, নাটকে ভরা ছিল গতকালকের ম্যাচটি। একমাত্র গোলদাতা মালির সোলেমান দিয়েবাতের হ্যাটট্রিকও হতে পারতো। ৫৮ মিনিটে গোল করেছেন, ৭৫ মিনিটে তার গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণে। ৮২ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেছেন। ওই সময় পেনাল্টিতে গোল হলে তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তো কিংস। গোল মিস করে মোহামেডান বাকি সময় লিড ধরে রেখে মাঠ ছেড়েছে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে শীর্ষ লিগে নাম লেখানোর পর এ নিয়ে ১১ বার মুখোমুখি হলো মোহামেডান ও কিংস। জয়ের পাল্লা কিংসেরই ভারী। প্রথম দেখায় মোহামেডানকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল নতুন ক্লাবটি। ১১ বারের দেখায় কিংসের জয় ৭টি। এ নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলো মোহামেডান। ড্র হয়েছে দুইটি ম্যাচ। তবে ২০২০ সালে করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য বাতিল হওয়া লিগে দুই দলের মুখোমুখিতে মোহামেডান জিতেছিল ১-০ গোলে। গতবার ঘরোয়া ফুটবলে কিংসের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল মোহামেডান। কিংস ট্রেবল জিতেছে, মোহামেডান তিনটিতেই রানার্সআপ হয়েছে। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে কিংসের মাঠেই মোহামেডান হারিয়েছিল ১-০ গোলে। ফিরতি ম্যাচ কিংস জিতেছিল ২-১ গোলে।