পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে খুচরা বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করায় জেলার মধ্যে একমাত্র যুবকদের পরিচালিত ন্যায্যমূল্যের দোকানে উপচেপড়া ভিড় বেড়েই চলেছে। তবে অর্থ সংকটের কারণে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পন্য সরবরাহ করতে চরম হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এখান থেকে সব শ্রেনী ও পেশার ক্রেতারা কম দামে তাদের পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী পন্য ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. আবু আবদুল্লাহ খানের উদ্যোগে মানুষ মানুষের জন্য যুব সংঘের সহায়তায় নায্যমূল্যে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হয় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। গৌরনদী থানা সংলগ্ন পৌরসভার বালুর মাঠে ন্যায্যমূল্যের এ দোকান উদ্বোধণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক আবু আবদুল্লাহ খান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. রাজিব হোসেন। এখানে বিক্রি করা সকল পণ্য খুচরা বাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করায় শুরু থেকেই ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দিনযতোই গড়াচ্ছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ততোই বেড়ে চলেছে।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ন্যায্যমূল্যের এ দোকানে চার প্রকারের ডাল, আলু, পিয়াজ, আদা, ভ্যাসন, চিনি, মুড়ি, খেজুর, তরমুজ, আনারস, মাল্টাসহ ২০ প্রকারের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানের সামনে পণ্য ক্রয়ের জন্য ভির করেছে ক্রেতারা। পণ্য ক্রেতারা জানিয়েছেন, খুচরা বাজারের চেয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকানে সব পণ্যের দাম কম রাখা হচ্ছে। যে কারনে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দোকানটি। এরকম দোকান সারাবছর থাকলে সিন্ডিকেট ব্যবসা ধ্বসে পড়বে।
মানুষ মানুষের জন্য যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম লিমন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুপ্রেরণায় রমজানের এক মাস সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ন্যায্যমূল্যের দোকানটি চালু রাখা হবে। দোকানে যে সকল পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে তা খুচরা বাজারের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গৌরনদীর বিভিন্ন ফলের দোকানে মাল্টা ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ন্যায্যমূল্যের দোকানে ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, খেজুর খুচরা বাজারের চেয়ে প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ২০০ টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা বাজারে তরমুজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হলেও আমরা ৫ কেজি ওজনের তরমুজ মাত্র ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। চিনি খুচরা বাজারে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হলেও আমরা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আসছি, মুড়ি খুচরা বাজারে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেখানে আমরা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এভাবেই অন্যান্য পণ্য খুচরা বাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের ভির সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, অর্থসংকটের কারনে ক্রেতাদের চাহিদা থাকা সত্বেও দোকানে বেশি মালামাল উঠাতে পারছিনা। যে কারনে প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ’জন ক্রেতাদের চাহিদাপূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে ন্যায্যমূল্যের দোকান।