পিএসসির মাধ্যমে অতিরিক্ত ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত

সরকারি চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ইতিমধ্যে চলমান ৩ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের ২৩তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  

বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “গ্রামাঞ্চলের মানুষ যেন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”  

বর্তমানে পিএসসির মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এর অতিরিক্ত আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগের মূল লক্ষ্য হলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসাসেবার সুযোগ বাড়ানো এবং সেখানকার মানুষের চিকিৎসা-সুবিধা নিশ্চিত করা।  

সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও জানান, সৌদি আরব থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “কয়েক দিন আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সৌদি আরব সফর করেছেন। সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বাজারে যে দামে এলএনজি বিক্রি করে, তার চেয়ে কম দামে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে সম্মত হয়েছে।”  

উপদেষ্টা পরিষদ গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩৫টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ৯২টি সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৮.১৬ শতাংশ, যা খুবই সন্তোষজনক।”  

বৈঠকে দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশের নাম পরিবর্তন করা হবে। নতুন নামে এই আইনগুলো কার্যকর হবে।  

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাস্থ্যখাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়ন সম্ভব হবে। এছাড়া, সৌদি আরব থেকে কম দামে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।