বিনোদন জগতের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদার। ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দাতেও সমান দর্শকপ্রিয়। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। তবে সম্প্রতি ‘শরতের জবা’ শিরোনামের একটি সিনেমা পরিচালনা ও প্রযোজনায় পেয়েছেন নতুন পরিচয়। শুধু অভিনয় নয় ৪০ বয়সি এই অভিনেত্রী খাবার ও রূপ চর্চায়ও বেশ সচেতন। জানা যায়, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দৈনন্দিন জীবনে নাকি কড়া নিয়ম মেনে চলছেন তিনি। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ১৩ বছর ধরে মাছ-মাংস একেবারেই খান না। তার আগে ১২ বছর একবারের জন্যও ভাত ছুঁয়ে দেখেননি তিনি। তখন মাছ-মাংস খেতেন, এখন ভাত খেলেও খান না মাছ আর মাংস। কুসুম বলেন, ‘৪০ পার করে ফেলেছি। সচেতন তো এখন বেশিই থাকতে হয়। তবে ফিনটেসের ব্যাপারে আমি আরও আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করি। ২০০০ সাল থেকেই ভাত খেতাম না। এরপর গত ১৩ বছর ধরে মাছ মাংস খাই না। এই ১৩ বছর ভাত খাই, তবে কম। ভাতের সঙ্গে সবজি খাওয়া হয় বেশি। এর বাইরে দুধ, ডিম, ঘি, মাখন, রুটি প্রতিদিনই খাওয়া হয়। আমার অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাই বেগুন আর পুঁইশাক ছাড়া সব ধরনের শাকসবজি খাওয়া হয়। বলতে পারেন, গেল ১৩ বছরে আমি পুরোপুরি ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেছি।’ খাওয়ার ক্ষেত্রে এত কড়াকড়ি কি ফিটনেস ধরে রাখার জন্যই, এমন প্রসঙ্গ উঠতেই কুসুম বলেন, ‘একদম তা নয়। সুস্থ থাকাটাই আমার কাছে বড় বিষয়। তাছাড়া এখন তো বয়স বাড়ছে। বয়সের সঙ্গে রেড মিট যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলা ভালো। আমি রেড মিট ছুঁয়েও দেখি না। এতে আমি বেশ ভালো থাকি। শারীরিক গড়নও ঠিকঠাক থাকে। মানসিকভাবেও আমি থাকি বেশ ফুরফুরে।’ কুসুমের মতে, সুস্থ জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক শান্তি সৌন্দর্য ধরে রাখার মূল চাবিকাঠি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো এবং ভালো বই পড়া তার মানসিক শান্তি ও সৌন্দর্য রক্ষায় সহায়তা করে।