শীতের মৌসুম শুরু হলেও পাবনার সুজানগরের কোথাও তেমন খেজুরের রস সংগ্রহ শুরু হয়নি। তাছাড়া উপজেলার কোথাও নেই তেমন কোন খেজুর গাছ। অথচ সুজানগর পৌর বাজারসহ উপজেলার অধিকাংশ হাটবাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল খেজুরের পাটালী। আর ওই ভেজাল পাটালী কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শতাধিক অসাধু পাটালী ব্যবসায়ী ও গাছি রয়েছে। ওই সকল ব্যবসায়ী ও গাছিরা শীতের মৌসুম আসলেই চিনি মিশ্রিত ভেজাল খেজুরের পাটালী তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে খেজুরের পাটালী দিয়ে দুধ ভেজানো চিতই পিঠা খাওয়া এবং মিষ্টি ব্যবসায়ীরা সন্দেশ তৈরী করায় খেজুরের পাটালীর বেশ চাহিদা দেখা দেয়। আর এ সুযোগে ওই সকল অসাধু পাটালী ব্যবসায়ী ও গাছিরা চিনির মধ্যে খেজুর রসের ফ্লেবার মিশিয়ে ভেজাল পাটালী তৈরী করে অবাধে বিক্রি করেন। সেই সঙ্গে পাটালীর রং উজ্জ্বল করতে এবং সুগন্ধ ছড়াতে চিনির রসের মধ্যে মেশানো হয় এক ধরনের কেমিক্যাল। উপজেলার মানিকদীর গ্রামের ফজলুর রহমান বলেন বর্তমান বাজার মূলে ১কেজি চিনির দাম ১২০ থেকে ১২৫টাকা। আর ১ কেজি চিনি মিশ্রিত ভেজাল পাটালীর দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। চিনির চেয়ে ভেজাল পাটালীর দাম প্রতিকেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি। সেকারণে ওই সকল গাছি ও ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় চিনির মধ্যে খেজুর রসের ফ্লেবার মিশিয়ে ভেজাল পাটালী তৈরী করে স্থানীয় হাটবাজারে অবাধে বিক্রি করছেন। আর ওই সব ভেজাল পাটালী কিনে ভোক্তারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। তাছাড়া ভেজাল ওই পাটালী শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ওয়াসীম খান জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন ভেজাল পাটালী ব্যবসায়ী ও গাছিদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।