কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মহান স্বাধীনতা ও দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আব্দুল হাই সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে চাদাবাজির অভিযোগ এনে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার কড়া প্রতিবাদ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। বুধবার উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির কার্যালয়ে যৌথ সম্বেলনে ভিত্তিহীন মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ করে যৌথ সংবাদ সম্বেলন করেন দৌলতপুর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি, ডায়াগনষ্টিক মালিক সমিতি, দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, দৌলতপুর প্রেস ক্লাব। এ সময় অনুষ্ঠান নিয়ে বিবৃতি দেন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক বৃন্দ। সংবাদ সম্বেলনে দৌলতপুর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, দৌলতপুরে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দল হাই সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে চাদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে তা একেবারে ভিত্তিহীন। দৌলতপুর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির কাছে কোন চাদা চাওয়া হয়নি। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তারা কোন চাদা দেননি। একটি কুচক্রিমহল পরিকল্পিত ভাবে এই অনুষ্ঠানকে বিতর্কিত করার জন্য আওয়ামী অনুসারী কিছু সাংবাদিক একটি মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এই সংবাদের তীব্র নিন্দা জানান তিনি। দৌলতপুর ডায়াগনষ্টি মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান সবুর মোল্লা বলেন, কিছু অনলাইন পোর্টালে দৌলতপুর ডায়াগনষ্টি মালিক সমিতির সভাপতির কাছ থেকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চাদাবাজি করা হয়েছে বলে যে সংবাদ হয়েছে তা ভিত্তিহীন। ব্যাক্তিগত সুবিধা না পেয়ে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে কিছু হলুদ সাংবাদিক এই সংবাদ করা হয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন। দৌলতপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এবারের স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ব্যাক্তিবর্গ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়েছেন। মানসম্মত খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি সকল মুক্তিযোদ্ধাকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। যৌথ সংবাদে সম্বেলনে উপস্থিত দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী ও দৌলতপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক, দৌলতপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব দৌলতপুর শাখার সভাপতি ওআরএমপি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম (শাহীন) বলেন একটি কুচক্রী বিতর্কিত সাংবাদিক মহল এবারের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এবারে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রতিবার যারা কেনাকাটায় চাঁদাবাজি করেন প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে তারা এ সুযোগ না পেয়ে এ মনগড়া ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছে। তিনি আরও জানান এবার নবগত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃআব্দুল হাই সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সুশৃংখলভাবে অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫ শতাধিক এর ঊর্ধ্বে মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং উপহার পেয়েছেন। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মূল্যায়ন করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রশাসনকে। তিনি আরো জানান একটি হলুদ সাংবাদিক গোষ্ঠী বর্তমান প্রশাসন কে উন্নয়ন কাজে বাধা গ্রস্থ করছে এবং বর্তমানে বৃহৎ একটি দলের মধ্যে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তিনি এসব দালাল সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান । তার জানামতে কোন চাঁদাবাজি হয়নি বলেও জানা গেছ। সাংবাদিক এমএ রাজ্জাক বলেন, স্বাধীনতা দিবসের সংবাদে তার নাম উদ্ধৃত করে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। সংবাদে তার নাম ব্যবহার করার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।ভবিষ্যতে এসব ঘটনা দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।