দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের চককবীর মিরপাড়া গ্রাম থেকে আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে রিফা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। রিফা আক্তার ওই গ্রামের সৈয়দ তরিকুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ পরাশ আলমের স্ত্রী ও দুই বছরের এক পুত্র সন্তানের জননী ছিলেন।
প্রতিবেশিরা জানান, রিফা আক্তার স্বামী সৈয়দ পলাশ আলম কাজের সুবাদে চট্টগ্রামে থাকেন। সে কারণে স্ত্রী রিফা আক্তার তার পুত্র সন্তানসহ শ্বশুর বাড়ীতে বাস করছিলেন। প্রতিদিনের মতো সেহরির পর বাড়ীর সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রিফা আক্তার ছেলে ঘরের ভেরত কান্নাকাটি শুরু করলে বাড়ীর লোকজন রিফা আক্তারকে ডাকাডাকি করলে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের ভ্যান্টিলেটর খুলে রিফা আক্তারকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
ওই গৃহবধূর শ্বশুর সৈয়দ তরিকুল ইসলাম বলেন, তার দুইছেলের মধ্যে বড়ছেলে বউ নিয়ে কুমিল্লায় থাকে আর ছোটছেলে একাই চট্টগ্রামে থাকে। সে কারণে তার স্ত্রী ও সন্তান তার সঙ্গেই থাকেন। সেহরির জন্য ভোররাতে রিফা আক্তার বাড়ীর সবাইকে ডেকে দেয়। সকলে সেহরি করে নামাজ আদায়ের পর ঘুরিয়ে পড়েন। পরে সকালে রিফার মরদেহ ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তার মৃত্যুর কারণ কি কিছুই বুঝতে পারছেন না।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম খন্দকার মহিব্বুল বলেন, রিফা আক্তারের মরদেহ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।