শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার স্বপ্ন দেশে মানসম্পন্ন, যুগোপযোগি ও আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষা প্রদান করা হবে। এ লক্ষ্যে আগামী বাজেটে শিক্ষাখাতে ৪ থেকে ৬ গুনবাজেট বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলেজ,মাদ্রাসাসহ সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থ, জনবলসহ যা কিছু দরকার তা বরাদ্দ দেওয়া হবে। সোমবার দুপুরে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতাস্বারকস্তম্ভ প্রাঙ্গনে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, অবকাঠামো, গবেষণার পরপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আবশ্যিকভাবে ভাল শিক্ষক দরকার। ভাল ছাত্ররা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকতায় আসছে না। এটিকে পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষকদের বর্তমানেযে বেতন কাঠামো রয়েছে, সরকার প্রধান তা পরিবর্তন করতে চান।
তিনি বলেন, সারাদেশে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। শিক্ষার্থীদের ক্লাসমূখী করুন। একটি সভ্য, গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়তে সকলকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে অনেক কম বাজেট দেওয়া হয়েছিল। আমরা অতীতের বাজেটের চেয়ে কমপক্ষে ৪ গুন বেশি বরাদ্দ দেব। পায়রাবন্দে থাকা রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের অবকাঠামো, জমিসহ পুরোটা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হবে। সেটি ইতিহাস গবেষণা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও পাঠদানের জন্য ব্যবহৃত হবে। সেই সাথে তাজহাট জমিদার বাড়িকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হবে ইতিহাস রিসার্চ ইন্সটিটিউট হিসেবে ব্যবহারের জন্য। কারমাইকেল কলেজের খাস ৫০ একর পতিত জমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হবে ছাত্র-ছাত্র হলসহ নানা অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান, টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা। বক্তব্য রাখেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাবিভাগের প্রভাষক খাইরুল ইসলাম, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামানসহ অন্যরা। এ সময় রোকেয়ার জীবন, দর্শন ও নারী
মুক্তিতে রোকেয়ার উদ্যোগ তুলে ধরা হয়। সেই সাথে রোকেয়ার নানা গ্রš’ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রতি বছর রোকেয়া পদক প্রদানের উপর সুপারিশমালা তুলে ধরেন বক্তারা।