ঢাবি ক্যাম্পাসে আবারও যান চলাচলে কড়াকড়ি: নির্দিষ্ট সময় ও প্রবেশপথে বিধিনিষেধ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
ঢাবি ক্যাম্পাসে আবারও যান চলাচলে কড়াকড়ি: নির্দিষ্ট সময় ও প্রবেশপথে বিধিনিষেধ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে যান চলাচলে ফের কড়াকড়ি আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বইমেলা ও পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যান চলাচলে কিছুটা শিথিলতা থাকলেও ৮ এপ্রিল, সোমবার থেকে আবারও আগের নিয়মে কঠোর নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরের পাঠানো এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে— শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, বার্ন ইউনিট, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, পলাশী মোড় এবং নীলক্ষেত।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, শুক্র ও শনিবার এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা এবং সাপ্তাহিক কার্যদিবসে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব প্রবেশপথ দিয়ে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট গাড়িই ঢুকতে পারবে।

যেসব যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে:
• ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন
• জরুরি সেবার গাড়ি (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী বহনকারী যান)
• সাংবাদিক পরিবহন
• রাইড শেয়ারিং সার্ভিস
• খাবার সরবরাহকারী ও অনলাইন শপিংয়ের ডেলিভারি যান
• অন্যান্য সরকারি যানবাহন

যানবাহন যেগুলোর প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত থাকবে:
• ব্যক্তিগত গাড়ি (স্টিকারবিহীন)
• গণপরিবহন
• ভারী যানবাহন (যেকোনো সময়েই নিয়ন্ত্রিত থাকবে)

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, “অংশীজনদের মতামত, পরামর্শ এবং বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করা হতে পারে।”

এর আগে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ঢাবি ক্যাম্পাসে যান চলাচলে প্রথমবারের মতো সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং চলাচলের সুবিধার্থেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে এর ফলে আশপাশের এলাকাগুলোতে যানজটের চাপ কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল, যা জনসাধারণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও, কিছু নাগরিক ও চালক এই নিষেধাজ্ঞাকে অতিরিক্ত বলেও মন্তব্য করেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত অটল এবং প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তন আনা হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে