সড়ক বিভাগের ৪০৭ শতাংশ জমিতে ৬৪৮টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে

এফএনএস (টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ) :
| আপডেট: ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম | প্রকাশ: ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
সড়ক বিভাগের ৪০৭ শতাংশ জমিতে ৬৪৮টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে

নিজেদের ইচ্ছামত পাল্লা দিয়ে চলছে সড়কের দুই ধারের জায়গা দখলের মহাউতসব। জেলার ছয় উৃপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে মার্কেট, দোকানপাট,মিল,কলকারখানা বাড়ি-ঘর। ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে শতশত। দখলের দৌড়ে থেমে নেই সরকারি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরাও। ঝিনাইদহ জেলার সড়ক-মহাসড়কের দু’ধারে গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ স্থাপনা। এদিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তবে তারা বলেছেন, দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শহরের আরাপাপুরে সড়কের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছে পৌরসভা। এই মার্কেটের দোকান পাটগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে। একই ভাবে ক্যাডেট কলেজ এলাকায় সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে হোটেল-রেস্তোরা, গ্যারেজসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে সড়কের জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। মহেশপুরের খালিশপুরে অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে মার্কেট। একই ভাবে জেলার ৬টি উপজেলার সড়ক-মহাসড়ক দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ৬৪৮টি অবৈধ স্থাপনা।

ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ১.৬০ একর জমিতে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ২১০। ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের ০.৪২ একর জমিতে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ৪৮, ঝিনাইদহ শহর পুরাতন সড়কের ০.৩৫ একর জমিতে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ৪৮, ঝিনাইদহ টার্মিনাল-আরাপপুর-হামদহ সড়কের ০.৩০ একর জমিতে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ২২, কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কের ০.৮০ একর জমিতে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ১৬০, খালিশপুর-মহেশপুর-দত্তনগর সড়কের ০.৮০ একর জমিতে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ১৬০টি।এসব জায়গা দখল করার কারণে সংকুচিত হচ্ছে সড়কের জায়গা। যে কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

দখলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন দখলদাররা। তারা বলছেন, দোকানপাট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন তারা, সরকার বললেই ছেড়ে দেবেন। কোনো দখলদার বলছেন, আরাপপুরে সড়কের জায়গা দখল করে পৌরসভা মার্কেট নির্মাণ করেছে। তাতে কারো মাথা ব্যথা নেই, আমরা করলে সমস্যা কি? এদিকে স্থানীয়রা বলছেন,সড়কের পাশে এভাবে মার্কেট বা দোকানপাট নির্মাণ করায় রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে,ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ছোট গাড়ি গুলো বড় গাড়িকে সাইড দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সড়কের পাশের এসব অবৈধ স্থাপনা গুলো দখলমুক্ত করে রাস্তা প্রশস্ত করলে দুর্ঘটনা কম ঘটতো এবং মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারতো।

সড়কের পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, সকড়ের অবৈধ স্থাপনা গুলো নিয়ে আপাতত তালিকা করার কাজ করছি। অর্থাৎ কোন কোন স্পটে কতগুলো স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে এবং কত একর জমি দখল করা হয়েছে। তালিকা করা শেষ হলে এসব অবৈধ দখলকৃত জায়গা গুলো উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার সড়কের পাশের ৪০৭ শতাংশ জমিতে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে ৬৪৮ টি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে