মহেশপুরে জোর পূর্বক জমি দখলে রেখে প্রভাবশালীর ড্রাগন চাষ

এফএনএস (কাজী মৃদুল, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ) : : | প্রকাশ: ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
মহেশপুরে জোর পূর্বক জমি দখলে রেখে প্রভাবশালীর ড্রাগন চাষ

অন্যের জমি জোর পূর্বক দখলে রেখে ড্রাগন চাষ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর উপজেলার মালাধরপুর গ্রামের প্রভাশালী শুকুর আলী ও তার ভাই সবুর আলীর নামে। বিষয়টি নিয়ে এসিল্যাণ্ড অফিস ও থানায় অভিযোগ করেও ফল না পেয়ে অবশেষে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন  জহর আলী মণ্ডল।

ভুক্তভোগী মালাধরপুর গ্রামের জহর আলী মণ্ডল জমির দলিলাদী ও রেকর্ডের কাগজ সাথে এনে অভিযোগ করেন- মহেশপুরের ১৪০নং মালাধারপুর মৌজার সাবেক দাগ ১৫৮, হালদাগ ৮৩, এই দাগে মোট জমি ২২ শতক জমির মধ্যে ১২শতক ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক জাহিদা খাতুন ছেলে কহিরুদ্দীন খান, মফিজ উদ্দীন ও শফিউদ্দীন।  ২০০৩ সালে ১০ই মার্চ ওই মালিক গং-এর কাজ থেকে ভূক্তভোগী জহর আলী মণ্ডল ১২শতক জমিসহ একই দলিলে ৮১ ও ৮২ দাগ থেকে মোট ৩৫ শতক জমি দলিল মূলে ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমি পরবর্তীতে নিজ নামে নামজারী ও রেকর্ড করে নেন। অথচ ওই ৮৩ দাগের বাকী ১০ শতকের জমি মালিক মোশারফ খাঁ ভূয়া দলিল দেখিয়ে ২০০৪ সালে ওই দাগ থেকে ১৫ শতক জমি বিক্রি করেন এলাকার শুকুর আলী ও তার ভাই সবুর আলীর কাছে। যা কাগজ পত্রে গড়মিল থাকায় চেষ্টা করেও শুকুর আলী ও সবুর আলী আজ পর্যন্ত নিজ নামে নামজারী বা রেকর্ড করতে পারিনী। অথচ শুকুর আলী ও সবুর আলী ৮৩ দাগে জমি কম থাকায় পূর্বে ক্রয় সূত্রে জমির মালিক জহর আলীর বৈধ দলিল ও নামজারী বা রেকর্ড থাকলেও তার ১২শতক জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নেন। বর্তমানে ওই জমি রাস্তার পাশে তাঁরের বেড়া দিয়ে ঘিরে ড্রাগনের চাষ করছেন তারা। এই ঘেরার ফলে ভূক্তভোগী জহর আলী তার অন্য জমিতেও যেতে পারছেন না। ফলে তার ফসলাদী নষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে জহর আলী অভিযোগ করেন, মোশারফ খাঁ ওয়ারিশ ও ক্রয় সূত্রে পাওয়া ৮৩ দাগে ৫৬ শতক অতিরিক্ত জমি দেখিয়ে শুকুর আলী ও সবুর আলী কাছে জমি বিক্রি করেন। মোশারফ খাঁ’র ৮৩ দাগে হিস্যা অনুযায়ী ৬.২৫ শতক জমি পাবে। অথচ ওই দাগে  ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখের নিজ নামে ক্রয় করা  জমিসহ ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমির দলিল দেখান ৫৬ শতকের। অথচ ওই তারিখে এই নামে কোন জমি রেজিষ্ট্রি হয়নি। মোশারফ খাঁ ভূয়া দলিলের মাধ্যমে জমি রেজিষ্ট্রী করায় জমি ক্রেতা শুকুর আলী ও তার ভাই সবুর আলী আজ পর্যন্ত জমির নাম পত্তন বা নাম জরি করতে পারেননি।  এ ব্যপারে অভিযুক্ত শুকুর আলী জানান, মোশারফ খাঁ’র কাছ থেকে তিনি   ও তার ভাই সবুজ আলী ১৬ শতক জমি ক্রয় করেছেন। তবে ১০ শতক জমির নামজারি করতে পেরেছেন বলে জানান। এর বাইরে আর কোন কথার উত্তর দিতে চাননি শুকুর আলী।

ভূক্তভোগী জহর আলী বিশ্বাস কিছু দিন আগে বিষয়টি প্রতিকারের জন্য স্থানীয় এসিল্যাণ্ড অফিস ও থানায় অভিযোগ করেন। প্রসাশন থেকে অভিযুক্ত শুকুর আলী ও সবুর আলীকে ডাকা হলেও তারা কাঙ্খিত কাগজ পত্র দেখাতে ব্যার্থ হয়। তারপরও তারা প্রসাশনের বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে জমিটি জোরপূর্বক দখলে রেখে চাষ করছেন। শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে জহর আলী আদালতের দারস্ত হয়েছেন। বর্তমানে জহর আলী মণ্ডল জমিটি ফিরে পেতে জরুরী ভিত্তিতে স্থানীয় এসিল্যাণ্ড অফিস ও থানায় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে