সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৪তম থেকে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার জট দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। রোববার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, গত কয়েক মাসে বিভিন্ন মিডিয়ায় চলমান বিসিএস পরীক্ষার বিষয়ে ভুল তথ্য প্রচারের কারণে পরীক্ষা প্রস্তুতিতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, যা প্রার্থীদের জন্য এক বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিভ্রান্তি দূর করতে এবং বিসিএস পরীক্ষার্থীদের শঙ্কা নিরসনে পিএসসি কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
পিএসসি জানায়, ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল আগামী জুন মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। একইভাবে, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলও জুনের মধ্যে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে ৮ মে থেকে, যা চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। পদসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর পরীক্ষা জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়ে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে।
৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার প্রার্থীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ২২ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। তবে, এই পরীক্ষা ১৬ জুনের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সময়সূচী খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৭ জুনের পরিবর্তে ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে বলে পিএসসি জানিয়েছে। প্রার্থীরা যাতে কোনো বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত থাকতে পারেন, সেজন্য কমিশন তাদের অনুরোধ করেছে, যেকোনো তথ্য পেতে পিএসসির ওয়েবসাইটকে একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে গ্রহণ করতে।
৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে সৃষ্ট জট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে পিএসসি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পিএসসি আরও জানায়, পরীক্ষার সময়সূচী নির্ধারণের জন্য কিছু কার্যক্রম, যেমন প্রশ্নপত্র ছাপানো এবং পরীক্ষাকেন্দ্র নির্বাচন, সঠিকভাবে পরিচালনা করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়। ফলে এসব কার্যক্রমে কিছু সময়ক্ষেপণ হতে পারে।
পিএসসি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে আরও সতর্ক করেছে যে কিছু মিডিয়ায় ভুল এবং অসম্পূর্ণ তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তাই পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পিএসসি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখতে এবং সেখানে প্রকাশিত তথ্যকে একমাত্র সঠিক তথ্যসূত্র হিসেবে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, বিসিএস পরীক্ষার প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন এবং নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। তবে পিএসসির এই নতুন পদক্ষেপগুলো তাদের উদ্বেগ কিছুটা হলেও প্রশমিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পিএসসি পরবর্তী সব নির্দেশনা এবং পরীক্ষার সময়সূচী নিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত তথ্য প্রকাশ করবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা সময়মতো প্রস্তুতি নিতে পারেন এবং কোনো ধরনের বিভ্রান্তির শিকার না হন।