জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় পাবনার চাটমোহর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়। ছাত্র-জনতা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সগুলোতে তালা লাগিয়ে চেয়ারম্যানদের অপসারণ দাবি করেন। পর্যায়ক্রমে চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিত দেখিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ানুল হালিম জেলঅ প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক ১১টি ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে প্রশাসক নিয়োগ করেন। এদিকে এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত ৪জন চেয়ারম্যান বিলচলন ইউনিয়নের আকতার হোসেন,ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের শামীম হোসাইন,গুনাইগাছা ইউনিয়নের রজব আলী বাবলু ও ফৈলজানা ইউনিয়নের হাফিজুর রহমান হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। শুনানী শেষে গত রবিবার হাইকোর্ট গুনাইগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও প্রশাসক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান ও ডিবিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও প্রশাসক নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক দায়ের করা রিটের শুনানী এখনো হয়নি। বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।