ভেড়ামারায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রাচীর নির্মান

এফএনএস (শাহ্ জামাল; ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া) : | প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:১৪ পিএম
ভেড়ামারায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রাচীর নির্মান

বাড়ি নির্মানের ক্ষেত্রে পৌর আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দালান ঘর নির্মান, প্রতিবেশিদের শুধুই ভোগান্তিতে ফেলার লক্ষ্যে চরম অনৈতিক ভাবে রাস্তার অংশে প্রচীর নির্মান করেছে প্রভাবশালী এক পুলিশ সদস্য। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ এস আই আলম রাস্তার উপর অযাচিত ভাবে প্রাচীর নির্মান করেছে। ফলে রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় জনভোগান্তির মুখে পড়েছে ওই পরিবারগুলো। এ বিষয়ে ভেড়ামারা পৌরসভায় প্রাচীর অপসরনের দাবী করে লিখিত আবেদন করেও কোন প্রতিকার মেলেনি।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ভেড়ামারা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আজিজ বিড়ি মোড় সংলগ্ন বামনপাড়ায় জমি ক্রয় করে জমির মালিক হন বামনপাড়ার মৃত আব্দুর রহিম ঘোষ’র পুত্র পুলিশের এ এস আই মোঃ আলম হোসেন, ভেড়ামারার আয়কর আইনজীবি মনির উদ্দীন এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত র্পোট অফিসার নাজমুল হক সিদ্দিক সহ অনেকেই। ২০১৮ সালে ওই জমিতে ২য় তলা বিশিষ্ট দালান ঘর নির্মান করেন পুলিশের এ এস আই মোঃ আলম ( বর্তমানে খুলনা থানায় কর্মরত)। পৌর এলাকায় বসতবাড়ি নির্মানের ক্ষেত্রে পৌর আইনের ইমারত নির্মান বিধিমালা ১৯৯৬ এবং স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯ আইন অনুযায়ী ২ ফিট ৯ ইঞ্জি জায়গা ফেলে রেখে বসত বাড়ি নির্মানের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তার জমির সীমানা অনুযায়ী দ্বিতল বিশিষ্ট দালান ঘর নির্মান করেন। স্থানীয়রা বলছেন, যা অনৈতিক এবং ক্ষমতার স্পষ্ট লংঘন। 

ভুক্তভোগী আয়কর আইনজীবি মনির উদ্দীন মনির জানিয়েছেন, পৌর আইন মেনেই আমাদের বসতবাড়ি নির্মান করেছি। কিন্তু মোঃ আলম পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে, পৌর আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুরো জমির উপর দালান ঘর ও অতিরিক্ত প্রাচীর নির্মান করেছে। যা সর্ম্পূন অনৈতিক। ওই প্রাচীর উচ্ছেদ এবং অপসারনের দাবীতে ভেড়ামারা পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কোন কারনে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী কর্মকর্তা নাজমুল হক সিদ্দিকী জানিয়েছেন, পুলিশের ক্ষমতা অপব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় একটি ওয়াল নির্মান করে অশান্তি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। যা কাম্য নয়। 

এ বিষয়ে পুলিশের এএসআই মোঃ আলম সীমানা প্রচীর নির্মানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। এখন ওই জমির দাম ১৫/২০ লক্ষ টাকা শতক। পৌর আইন অনুযায়ী ২ ফিট জায়গা ফেলে রাখতে হয়, এটা আমি জানি। আমি টাকা দিয়ে জমি কিনে ওই জায়গা কেন ফেলে রাখবো। এক্ষেত্রে পৌর আইন দেখার কোন প্রয়োজন নেই। আমার টাকা দিয়ে কেনা জমিতে কেউ রাস্তা করুক এটা আমি চাই না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে