ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জড় বইছে।বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের সিদ্ধি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।পরে দফায় দফায় প্রশাসনের ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপে ১২ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জানাজা ও দাফন সম্পূর্ণ হয়।বৃহস্পতিবার ভোরে সিদ্ধি গ্রামের মৃত মুনতাজ শেখের ছেলে বশির উদ্দিন (৫৪) নামের এক গরু ব্যবসায়ী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জোহর, আসর ও মাগরিবের তিন সময়ে তার জানাজার নামাজের জন্য পরিবারের লোকজন পস্তুতি নিলে একাধিক পাওনাদারেরা এসে বাধা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত বশির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে গরুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাকিতে গরু কিনে হাটবাজারে বিক্রি করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাবসায়িক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোন নিয়ে ঋণ গ্রস্থ হয়ে পড়েন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থানের ২৫/৩০ জন পাওনাদার জানাজার সময় এসে পাওনা টাকার দাবি করে মরদেহ বাড়ি থেকে কবরস্থানে নিতে বাধা দেন।
শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় বাসিন্দা ওহিদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বশিরের মরদেহের দাফন করা হয়েছে। এই রকম অমানবিক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। পাওনাদাররা কে কত টাকা পাবে কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। পাওনাদারদের দাবি, তারা সবাই গরু ব্যবসায়ী বশিরের কাছে বিপুল অঙ্কের টাকা পাবেন। বেশকিছু দিন ধরে টাকা দেওয়ার কথা বললেও কোনো টাকা পাননি তারা। দুপুরে মৃত্যুর খবর শুনে তারা বশিরের বাড়িতে আসেন তবে টাকার কোনো দফা রফা হয়নি।নিহত বছিরের ছেলে বাঁধন ইসলাম বলেন, আমার বাবার গরুর ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার পর বেশ কিছু টাকা দেনা হয়ে যায়। তবে কার কাছে কত টাকা ধার তা জানি না।আমি পাওনাদার কাউকে চিনি না। তারা আগে কখনও আমাদের বাড়িতে আসেনি।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আলোচনার মাধ্যমে মরদেহটির দাফন সম্পন্ন করা হয়।