সৈয়দপুরে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ মিলেছে। ওই প্রধান শিক্ষক মির্জা জহুরা আক্তার অতি গোপনে বিদ্যালয়ের দুটি মুল্যবান মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এটি ঘটেছে গত সোমবার শহরের নয়া বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যে কোন গাছ কাটতে হলে বনবিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে ওই প্রধান শিক্ষক তা করেননি। গাছ কাটার বিষয়ে অবগত নন সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন সরকার। তবে তিনি গাছ কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এমন কথা জানালেন। জানা যায়,পুর্বের পরিচালনা কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক ও প্রধান শিক্ষককে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটির সদস্যরা গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানানো হয়। তাছাড়া গাছ কাটার বিষয়ে কোন আলোচনাও হয়নি তাদের সাথে। প্রধান শিক্ষক কেন গাছ কাটলেন তাও আমরা জানি না। তিনি যে দুটি গাছ কেটেছেন তার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় লাখ টাকা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মিজানুর রহমান জানান,গাছ কাটার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কোন আলোচনা করেন নাই। এদিকে প্রধান শিক্ষক মির্জা জহুরা আক্তার বলেন,বিদ্যালয়ের টেবিল-চেয়ার তৈরির জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। তাঁর দপ্তর ও বন বিভাগের অনুমতি নিয়েছেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিভাবক শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনের সভায় রেজুলেশন করা আছে। সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন সরকার বলেন,পিটিএ মিটিংয়ে রেজুলেশন করলেও গাছ কাটা যাবে না। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই -আলম সিদ্দিকী জানান,নিয়ম অনুযায়ী গাছ কাটতে হবে। ওই শিক্ষক তা করেননি। তিনি গাছ কেটে অন্যায় করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি গাছ কাটতে হবে। প্রধান শিক্ষক কোন নিয়ম মানেননি। তাঁকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।