দিঘলিয়া উপজেলার এমপি লীগ প্রধান গ্রেফতার হলেও তার চারপাশের সাঙ্গপাঙ্গরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এমনকি দিঘলিয়ার অনেক কিছু চলছে সেই আদলে। এমপি সালাম মূর্শেদী আমলে দিঘলিয়ার উন্নয়নসহ নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির খবর একাধিকবার একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটুকুও নড়ে চড়ে বসে নি এমনি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র থেকে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতি অভিযোগ উঠেছে। জেলা পরিষদের উন্নয়ন বরাদ্দ সংশ্লিষ্টদের পকেটে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি ক্রয় ও নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (ত্রাণ) বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে টাকা তুলে পকেট ভারী করার ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন কি সরকারি রাস্তায় কাজ না করে লোকজনের ব্যক্তিগত রাস্তা করে মালিকের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা গ্রহণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি এডিপি, জেলা পরিষদ প্রকল্প ও ত্রাণ দপ্তরের সৃজনশীল প্রকল্প সংমিশ্রণ ঘটিয়ে অর্ধ লুটপাট করা হয়েছে যা তদন্ত হলে সত্যতা প্রমাণিত হবে। জেলা পরিষদের বরাদ্দে কাজ না করে পুকুর চুরি করেছে সংশ্লিষ্টরা। কেউ কেউ বাড়ি গাড়ি করেছে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অনেক নেতা জেলা পরিষদের প্রকল্প পাশ করে পকেট ভারী করার অভিযোগ মানুষের মুখে মুখে। এমনকি হাট-বাজার, নদীর ঘাট ইজারা সিন্ডিকেট করে লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি, ভিপি ও খাস খতিয়ানের জমির দখল দিয়ে বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার নিয়োগ বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা লুফে নেওয়া, পুকুর, জলাশয়, খাল-বিল ইজারাছাড়া দখল নিয়ে রাতারাতি কালো টাকার পাহাড় গড়েছে অনেকে। কখনো এমপিকে ভাগ দিয়ে, কখনো এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে এমপির প্রতিনিধি পরিচয়ে কখনো এমপির আস্থাভাজন সেজে এ সকল অনিয়ম ও দুর্ণীতির অপ্ররোধ্য আঙ্গিণা হিসেবে পরিচিত হয়ে গিয়েছিল দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর যার নিরোপেক্ষ তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল এমনটাই জানিয়েছেন দিঘলিয়ার বিজ্ঞমহল। এমন কি সরকারি রাস্তার মরা গাছ নিলাম সিন্ডিকেটে রাস্তার ৪ লক্ষাধিক টাকার জ্যান্ত গাছ কাটার সরকারিভাবে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে সত্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে উপজেলা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরও থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার বিশ্বাস এর মাধ্যমে মামলা নষ্ট করে ঠিকাদারকে রক্ষা করেন এমপি নিজে। এমনকি এমপি নিজে পুলিশ মোতায়েন করে সিন্ডিকেট করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ ঠিকাদার পাইয়ে দেন তার আপন লোকদের। দিঘলিয়া উপজেলার কয়েকটি মেঘা প্রকল্প যেমন উপজেলা মডেল মসজিদ, উপজেলা পরিষদের মাঝে রাস্তা ঢালায়, মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, আতাই নদীর ভঙ্গন রোধ প্রকল্প, ভৈরব নদীর ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পসহ আরো কয়েকটি প্রকল্পে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ণীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন এম পি সালাম মূর্শেদীর আশীর্বাদপুষ্ট আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা, দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কতিপয় জন প্রতিনিধি ও এমপি প্রতিনিধি। যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে সম্পদের ও অবৈধ অর্থের দাপট। যারা সমাজের বিতর্কিত মহলের সাথে গোপনে আঁতাত করে হাত মিলিয়ে নির্বাচনের প্রহর গুনতে শুরু করেছেন। এমনকি এমপি ও এমপি লীগের লোকজন বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিভাজন করে একদিকে গড়তে সক্ষম হয়েছিলেন আওয়ামী প্রেসক্লাব, এমপি জনপ্রতিনিধি লীগ ও এমপি লীগ। দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের ওপর অশুভ প্রভাব খাটিয়ে তার নিজস্ব আবিষ্কৃত প্রতিনিধিদের দিয়ে নানা অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ণীতি করতে বাধ্য করা হতো এমন অভিযোগ নানা গোয়েন্দা সংস্থার। এমনকি হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তোলেন দুর্ণীতির দূর্গ। রাতারাতি হয়ে জান ভাইজানের আশীর্বাদ পুষ্ট কোটি কোটি টাকার সম্পদের, বাড়ি-গাড়ির মালিক। যে কারণে এ সকল নেতাগণ মরয়া হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ভোটারবিহীন নির্বাচনে পুনরায় সালাম মূর্শেদীকে এমপি বানানোর জন্য। দুর্ণীতি দমন কমিশনসহ নানা মহলে পর্দার আড়ালে থেকে তদবির করছেন প্রশাসনের চোখ এড়াতে এ সকল মহল। এমনকি পর্দার আড়ালে থেকে এ মহল অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অবস্থানকে দুর্বল ও বিতর্কিত করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার শান্তিপ্রিয় লোকজন। এ অশুভ শক্তির পতন ঘটলেও তার প্রেতাত্নাদের পরোক্ষ নজরদারি ও পদচারনা দিঘলিয়ার সর্বত্র এমন অভিযোগ লোকজনের মুখে মুখে।