রাজশাহীর বাঘায় স্কুলে যাওয়ার পথে বাসের চাপায় বাবা-মেয়ের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বাবা-মেয়ের দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সোমবার (১৯ মে) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
পা বিচ্ছিন্নকারীরা হলেন-বানিয়াপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়ি প্রবাসী শান্ত ইসলাম (৪৫) ও তার মেয়ে উম্মে তুরাইয়া (৫)।
জানা গেছে, সকালে শান্ত ইসলাম তার স্ত্রী ও সন্তানকে মোটরসাইকেলে করে মেয়ের নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। তারা বাঘা-ঈশর্দী মহাসড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া নামকস্থানে পৌঁছলে ঢাকাগামী সুপার সনি নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় বাবা-মেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে বাবা ও মেয়ের শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় শান্তর স্ত্রীও আহত হয়েছেন। বাবা-মেয়েকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার পরে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে বাসটি পুলিশ জব্দ করে থানায় নিয়ে যান। শান্ত ইসলাম কিছুদিন আগে মালয়েমিয়া থেকে ছুটিতে দেশে এসেছেন। মেয়ে গ্রীন হেভেন স্কুলের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় হেলান উদ্দিন বলেন, বাবা মেয়ের অবস্থা অত্যান্ত খারাপ। তাদের জন্য এ প্রজেটিভ রক্তের প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফম আছাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থল গিয়ে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বাসটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩রা পৌষ ১৪৩২
