মুলাদীতে মেয়ে, পুত্রবধু ও মেয়ের সাবেক স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বৃদ্ধা। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় মুলাদী রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। উপজেলার পৌর সদরের চরডিক্রী গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬৫) তার মেয়ে সুফিয়া, পুত্রবধু নাসিমা বেগম ও সাবেক জামাতা সিদ্দিক সরদারের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। জমি লিখে না দেওয়ায় তারা অত্যাচার করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এসময় তার অন্য দুই মেয়ে আয়শা আক্তার সুমী ও ফারজানা ইয়াসমিন হাসি উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা বেগম বলেন, তার মেজো মেয়ে সুফিয়া বেগমের সঙ্গে সিদ্দিক সরদারের বিচ্ছেদ হওয়ার পরে অন্য জায়গায় বিবাহ হয়। পরে তিনি সুফিয়াকে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন। বাড়ির জমি নিয়ে সুফিয়া বিবাদ শুরু করলে স্থানীয়ভাবে সালিস মিমাংশায় মৃত জয়নাল আবেদীনের জায়গা-জমি তার স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৪ মেয়ের মাঝে বণ্টন করে দেন। চলতি বছর জুন মাসে মেয়ে সুফিয়া ও পুত্রবধু নাসিমা বৃদ্ধা ফাতেমা বেগমকে তার জমি দলিল করে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। ফাতেমা এতে রাজি না হওয়ায় গত ২৯ জুলাই তাকে মারধর করেন মেয়ে ও পুত্রবধু। ওই ঘটনায় ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে বরিশাল জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি মুলাদী থানায় প্রেরণ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অপরদিকে মামলা করায় মেয়ে, পুত্রবধু ও জামাতা ক্ষিপ্ত হয়ে আবারো মারধর করেন এবং মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। ফাতেমা বেগম আরও বলেন, ‘সুফিয়া তার বর্তমান স্বামী আলী মোল্লা ও পূর্বের স্বামী সিদ্দিক সরদারের সঙ্গে মিলে লোকজন নিয়ে আমাকে এবং আমার অন্য দুই মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তারা যেকোনো উপায়ে আমার থেকে জমির দলিল নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি দুই মেয়েকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।’ এব্যাপারে জানতে চাইলে সিদ্দিক সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সুফিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাদের পারিবারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি।’ মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, জমি লিখে নিতে বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এছাড়া বৃদ্ধাকে কেউ হুমকি দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।