টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আমিনুল হক বাচ্চু (৭০)নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পাকুন্দিয়ায় এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে উলামায়ে কেরাম ও সর্বস্তরের তাওহিদী জনতার ব্যানারে পৌরসদরে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ২টার দিকে পাকুন্দিয়া পৌর সদর ঈদগাহ থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৌরসদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা ইমাম-উলামায়ে পরিষদের সভাপতি মাওলানা রশিদ আহমেদ জাহাঙ্গীর হুছাইনী। এসময় সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন, পাকুন্দিয়ার ইউএনও মো.বিল্লাল হোসেন। সমাবেশে ইমাম-উলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা ইদ্রিস আলীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক উলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতা অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত উলামায়ে কেরাম আমিনুল হক বাচ্চু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এর আগে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের এবং মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মাওলানা জুবায়ের অনুসারি পাকুন্দিয়া উপজেলার আমিনুল হক বাচ্চু নিহত হন। এছাড়াও উভয়পক্ষের আরো কয়েকজন নিহত এবং বেশ সংখ্যক অনুসারী আহত হন। আমিনুল হক বাচ্চু নিহতের ঘটনায় তার নিজ উপজেলার উলামায়ে কেরাম বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। আমিনুল হক বাচ্চু উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের খামা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের মৃত উছমান আলীর ছেলে এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। তার মৃত্যুতে পরিবারে মাতম চলছে।