ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষের দীর্ঘ ৬ ঘন্টারও বেশি সময় পর সারাদেশের সঙ্গে খুলনার রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে খুলনা-ঢাকা সুন্দরবন ট্রেনটি খুলনা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। তবে, ট্রেনটি দৌলতপুর স্টেশনে অপেক্ষার পর রাত ২টা ৫ মিনিটে দুর্ঘটনাস্থল অতিক্রম করে। সুন্দরবন ট্রেনটি রাত পৌনে ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার সকালে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এছাড়া আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনের অন্যান্য ট্রেন যথারীতি সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো. শহিদুল ইসলাম খান (৬৫) নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মারা যান। নিহতের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার খাজুড়া পূর্বপাড়া এলাকায়। আহতদের মধ্যে খুমেক হাসপাতালে আটজনকে এবং বাকীদের খুলনার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খুমেক হাসপাতালের সূত্র জানিয়েছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতরা হলেন- অভয়নগর থানার নোয়াপাড়া গ্রামের সুমনের ছেলে সাদমান(৬), যশোর থানার সেখ হাটি গ্রামের হাফিজুরের ছেলে মারুফ (১৭), বটিয়াঘাটা থানার হাটবাটি গ্রামের মোশারফের ছেলে মিন্টু (৪৫), আড়ংঘাটা থানার গাইকুর গ্রামের মৃত শেখ রুস্তম আলীর ছেলে শেখ সাইদুল আজম (৫০), খালিশপুর থানার বাস্তহারা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সোহেল (৩৪), দৌলতপুর থানার দৌলতপুর গ্রামের রনজিত পালের ছেলে বিপ্লব (২৬), বসুন্দিয়া থানার বসুন্দিয়া গ্রামের ইয়াকুব মোল্লার ছেলে মাহমুদ হোসেন (৪০) ও রূপসা থানার কাশদিয়া গ্রামের আশিষের মেয়ে লাবণ্য (১৫)।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৪ জুলাই) রাত পৌনে ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনার আফিল গেটে পৌঁছালে রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক রেল লাইনের ওপর উঠেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ট্রেনটি ট্রাকটিকে ধাক্কা দিয়ে কিছুদূর নিয়ে যায় এবং ট্রেনের তিনটি বগি রেল লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এতে ট্রেনের একজন যাত্রী নিহত ও অন্তত: ৩০জন যাত্রী আহত হন।