বাংলাদেশের জাতীয় চেতনাকে পুনর্জাগরণের আরেকটি মুহূর্তে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া স্মরণ করালেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের লড়াই, স্বপ্ন ও আত্মত্যাগের কথা। রোববার (১৮ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে আয়োজিত একটি প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “যতদিন বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে জুলাই আন্দোলনের শহীদ, আহত ও সংগ্রামীদের নাম।”
এই প্রতীকী ম্যারাথন ছিল কেবল একটি ক্রীড়া ইভেন্ট নয়, বরং তা হয়ে উঠেছিল একটি প্রতীকী যাত্রা—যেখানে ইতিহাস, আত্মত্যাগ, এবং জাতির ভবিষ্যৎ স্বপ্ন একসূত্রে গাঁথা হয়ে ওঠে। শহীদ পরিবার, আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং তরুণ প্রজন্মের প্রায় সাত শতাধিক প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করেন। পুরো আয়োজনজুড়ে ছিল আবেগঘন পরিবেশ এবং 'জুলাই চেতনাকে' নতুন প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের স্মৃতি শুধু ইতিহাস নয়, তা হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিক মর্যাদা ও সাম্যের জন্য যে লড়াই হয়েছিল, তা কেবল একটি সময়ের আন্দোলন ছিল না, বরং ছিল একটি নতুন রাষ্ট্রকাঠামোর স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আজও অসম্পূর্ণ এবং তা বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন একটি ম্যারাথনের মতো। সময় যতই লাগুক, দেশপ্রেম আর সংগ্রামের শক্তিতে আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবই। আজকের এই প্রতীকী ম্যারাথনে যেমন কারো আলাদা ট্রেনিং ছিল না, তেমনি জুলাইয়ের লড়াকুরাও কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই লেথেল ওয়েপনের বিরুদ্ধে সাহসিকতা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল।”
আয়োজকরা শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন এবং আহতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানজুড়ে ছড়িয়ে ছিল ইতিহাস, সংগ্রাম ও স্বপ্নের এক গর্বিত আবহ—যেখানে পুরনো যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছে নতুন প্রজন্ম, যারা ‘জুলাই চেতনা’ ধারণ করে এগিয়ে যেতে চায় সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার পথে।