আদালতের আদেশের পরও স্থায়ীভাবে নিয়োগ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৭৬ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীরা। আগামী ১০ দিনের মধ্যে চাকরি স্থায়ী করতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির আউটসোর্সিং কর্মচারীরা আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির আবাসিক গেটের সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আউটসোর্সিং কর্মচারীরা। বুধবার বেলা ১১টায় কয়লা খনি আবাসিক গেটে সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মলনে বড়পুকরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডে এর আউটসোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যান পরিষদের সভাপতি আশরাফুল আলম তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন না হয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সব ধরনের কাজ বন্ধের বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ২৭৬ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী। তাই আমরা ২৭৬ জন স্থায়ী নিয়োগ চাই। জমি অধিগ্রহনে আমাদের স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে স্থায়ী চাকুরি দেওয়ার কথা থাকলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এসময় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সদস্য জার্নিল আকন্দ ও সামসুল আলম।
বড়পুকরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডে এর আউটসোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যান পরিষদের সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) কয়লা খনিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০-২২ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে। জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে ২০০৯ সালে ১৫ মে বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সমঝোতা স্মারকের ৮ ধারায় ক্ষতিগ্রস্তদের কয়লা খনিতে চাকরির ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা শিখিল করে চাকরি প্রদানের সুপারিশ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে ১৮ জানুয়ারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম থেকেই এই কোম্পানিতে ক্ষতিগ্রস্তদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি আউটসোর্সিং কর্মচারী হিসেবে রেখে সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, এব্যাপারে আমাদের নিয়োগ কমিটিকে বলা হয়েছে। হাইকোটের রায় বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।