ববিতে চার মাসে তিন প্রক্টর পরিবর্তন

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : | প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
ববিতে চার মাসে তিন প্রক্টর পরিবর্তন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রক্টর পদে ঘণ ঘণ পরিবর্তন এক অনিশ্চিত প্রশাসনিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। দায়িত্ব পালনের মাত্র চার মাসের ব্যবধানে তিনজন প্রক্টর পরিবর্তনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্থিতিশীলতা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সর্বশেষ গত ২১ জুলাই কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সালকে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে নানা বিতর্ক, পদত্যাগ ও দায়িত্বগ্রহণ না করার ঘটনাপ্রবাহের মধ্যদিয়ে প্রক্টরের চেয়ার বারবার পরিবর্তিত হয়। যা শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

সূত্রমতে, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১ মাস ২৯ দিনের মাথায় (গত বছরের নভেম্বর মাসে) তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এরপরে ওইদিন প্রক্টর হিসেবে সাময়িক দায়িত্ব পান উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এটিএম রফিকুল ইসলাম।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পান উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সোনিয়া খান সনি। গত ১৩ মে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে অব্যাহতি প্রদানের পরেও স্বপদে বহাল থেকে যান ড. সোনিয়া খান সনি। এরপর ১৬ জুলাই তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে অভিযোগ ওঠায় মাত্র চারদিনের মধ্যে তিনি প্রক্টরের পদ হারিয়েছেন। যা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এক বিরল ঘটনা। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বারবার পরিবর্তনের ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক স্থিতিশীলতায়। ঘণ ঘণ প্র্রক্টরের পরিবর্তন প্রশাসনিক কার্যক্রমেও ঘটছে ব্যাঘাত। এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা গণমাধ্যমের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।