মেহেরপুরে সড়ক সংসংস্কারে পরিত্যাক্ত ইট ব্যবহারের অভিযোগ

এফএনএস (ফারুক আহমেদ, মেহেরপুর) : | প্রকাশ: ২৭ জুলাই, ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
মেহেরপুরে সড়ক সংসংস্কারে পরিত্যাক্ত ইট ব্যবহারের অভিযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সামাদের সহযোগিতায় সড়ক সংস্কারে পরিত্যাক্ত ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সদর উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির উল ইসলাম। নিম্নমানের কাজের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

এলজিইডি সূত্র জানাগেছে, কোটি ২৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যায়ে ষোলমারী,চাঁদপুর রামদাসপুর সড়ক ১৭শত মিটার সংস্কার কাজের কার্যাদেশ পায় মেসার্স নুর ইসলাম এন্টারপ্রাইজ। গত ২১ এপ্রিল কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অর্ধেক কাজও শেষ হয়নি। ঠিকাদার নুর ইসলামের সাথে সদর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ সহ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা থাকায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করলেও দর্শকের ভুমিকা পালন করছেন তারা। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন,ব্যবহার অযোগ্য ইটের খোয়া এই সড়কে দেয়া হচ্ছে প্রতিবাদ করলেও এলজিইডির কোন কর্মকর্তার সাড়া পাওয়া যায় না। এছাড়া ঠিকাদার নুর ইসলাম বিএনপি নেতা হওয়ার কারনে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেনা। সে সুযোগে ব্যবহার অযোগ্য ইট দিয়ে দেদারছে কাজ করছে। তাছাড়া রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ার চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারনকে। 

স্থানীয় সমাজ সেবক নাসিম জানান,এই অপকর্মের সাথে ঠিকাদার কিংবা এলজিইডির যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে তা না হলে কোন ভাবেই অনিয়ম দুর করা সম্ভব হবেনা। 

ব্যবসায়ী পারভেজ জানান,প্রকাশ্য দিবালোকে ঠিকাদার ব্যবহার অযোগ্য ইটদিয়ে কাজ করছে আর দেখভালের দায়িত্বে যে সরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা দর্শকের ভুমিকার পালন করছে তাদের সরাসরি চাকুরিচ্যুত করা উচিত। 

সদর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ বলেন তাকে না জানিয়ে ঠিকাদার কাজ করছে। অনেকগুলো কাজ চলমান রয়েছে কোন রেখে কোনটা দেখবো। তবে তিনি তার সাথে ঠিকাদারের সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন নেই বলে দাবি করছেন। 

এদিকে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে ঠিকাদার নুর ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেয় হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির উল ইসলাম বলেন,সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সকল মালামাল উত্তোলন করে ভালো ইটদিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ করছে কিভঅবে জানতে চাইলে তিনি বলেন সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে। 

কুষ্টিয়া এলজিইডির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আব্দুস সালাম  বলেন,ঠিকাদারের অনিয়মের সাথে অফিসের কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে