শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার রহিমানগর বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে গণমিছিল বের হলে অতর্কিত হামলা করে বিএনপির আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানান কচুয়া উপজেলা বিএনপির নেতারা। এ ঘটনায় রহিমানগর বাজার এলাকা এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সমর্থিত প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিমসহ যুবদল ও মহিলা দলের নেতারা।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সমর্থিত নেতাকর্মীদের গণমিছিলটি রহিমানগর বাজার প্রদক্ষিণকালে ১৫-২০ জনের একদল দূর্বৃত্ত লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে। ওইসময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে পুলিশ টহল অব্যাহত রেখেছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সেলিম উল্ল্যাহ সেলিম এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে কোন বিএনপির সমর্থকেরা হামলা করতে পারে না। তারা ফ্যাসিবাদের দোসর ও বিএনপির বিপদগামী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর- ১ কচুয়া আসন থেকে বিগত সময় জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতা আনম এহসানুল হক মিলন এমপি ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকা অবস্থায় এহসানুল হক মিলন বেশ নির্যাতিত হন।দীর্ঘদিন কারাবরণও করেন তিনি।
অপরদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির আরেক নেতা মোশারফ হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সামনের নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির কে পাবেন মনোনয়ন? নেতাকর্মীদের গ্রুপিং অবস্থান জানান দিতে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ চলে আসছে। নেতাকর্মিরাও দুই ভাগে বিভক্ত। দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায় সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে কচুয়ায় বিএনপির রাজনীতিতে মিলন- মোশারফ এর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।