আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে গাঁজা গাছ লাগানোর তথ্য দিলে তারা আমাকে একটি নাম্বার দেয় দেয়, এ ঘটনা টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীর পুলিশ ভাইয়ের সহায়তায় পানের বরজের মধ্যে থাকা ১৭ টি গাঁজা গাছের ভিতর থেকে ১৪ টি গাছ তুলে ফেলে ফরাশপুর গ্রামের এক মাদক ব্যবসায়ী। অথচ কয়েক দিন ধরে পুলিশের কাছে তথ্য দিলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। মাদক বিরোধী উঠান বৈঠকে কথা গুলো বলছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শালিখা গ্রামের রবিউল ইসলাম। রোববার বিকাল ৫ টায় উপজেলার ফরাশপুর গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান ঝন্টু’র সভাপতিত্বে মাদক বিরোধী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ফরাশপুর,শালিখা,বারইপাড়া ও মস্তবাপুর গ্রামের কয়েক’শ মানুষ অংশ নেয়। উঠান বৈঠকে শালিখা গ্রামের আকিদুল ইসলাম,পঙ্কজ দাস,ঈমানআলী,ফরাশপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল বিশ্বাস, ফরহাদ আহমেদ,দাউদ আলী বিশ্বাস, বারইপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক, মোস্তবাপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদসহ প্রায় ১০ জন বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন , গ্রাম গুলোতে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয় হলেও প্রশাসন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয় না। যার কারনে মাদকে আসক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যদি এখনি মাদকের বিস্তার রোধ করা না যায়, তবে আগামীতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। সে সময় বক্তারা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার জন্য প্রশাসনের আহ্বান জানিয়ে মাদকের বিস্তার রোধে সবাই সচেতন হওয়ার দৃড় সংকল্প ব্যক্ত করেন। উঠান বৈঠক শেষে ৪ গ্রামের মানুষ নিয়ে একটি মাদক বিরোধী কমিটি গঠন করা হয়। মাদকের বিরুদ্ধে গ্রাম ডর্যায়েএ ধরনের উঠন বৈঠক সচারচার লক্ষ করা যায়না। তাই আজকের এই মাদক বিরোধী উঠান বৈঠককে সুশীল সমাজ সাধুবাদ জানানর পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের নিস্ক্রিয়অবস্থান থেকে সরে এসে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।