তানোরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর ধরলেন পুলিশ, ১১ লক্ষ টাকা উদ্ধার

মো: ইমরান হোসাইন; তানোর, রাজশাহী | প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
তানোরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর ধরলেন পুলিশ, ১১ লক্ষ টাকা উদ্ধার
রাজশাহীর তানোরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে চুরি যাওয়া ১১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে তার বাড়ি থেকে ১১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিন সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৩৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নিজ বাড়ি থেকে এ চোরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তানোর থানা পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, মাবিয়া বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা নারী তার ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার জন্য সোমবার ২৮ জুলাই দুপুরে তানোর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় জমি বিক্রি করেন। তারা বাড়ি রাজশাহী নগরীর সিরোইল মহল্লায়। বাবার বাড়ি মুন্ডুমালাতে। সেখানে তার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির জন্য তানোর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। এসময় জমি বিক্রির টাকা নিয়ে ওই বৃদ্ধা নারী ব্যাগে রেখে অফিসের বারান্দায় বসে ছিলেন। এসময় তানোর উপজেলার বাঁধাইড় ইউপির একান্নপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমানের পুত্র আরজেদ আলী (৩৪) দেখতে পাই। তখন অতিগোপনে ওই নারীর টাকার ব্যাগটি চুরি করে শটকে পড়ে চোর। পরে ব্যাগে টাকা না পেয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত লোকজনকে জানাই। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারী থানায় অভিযোগ দেন। এমন অভিযোগ পেয়ে তানোর থানার ওসির নেতৃত্বে টাকা উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশের চৌকস দল। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের একান্নপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাইদুর রহমানের ছেলে আরজেদ আলীকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় বাড়িতে থাকা ১১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। বাঁকি ৩০ হাজার টাকা চোর আরজেদ আলী খরচ করে ফেলে। এব্যাপারে তানোর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আরজেদ আলী আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য হতে পারে বলে তদন্ত চলছে। এই চোরের বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর- ২২। তারিখ ২৯ জুলাই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করেছে চোর আরজেদ আলী। ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর থানা পুলিশের চৌকস দল সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। দ্রুত সময়ে অপরাধীকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে