সাতক্ষীরা তালা উপজেলায় এক সময় মাদুর শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে গেছে তালার সেই বিখ্যাত মাদুর শিল্প । সরজমিন তালার মাদরা বাতুয়াডাঙ্গা কলাগাছি সহ প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে জানা গেছে এ সব অঞ্চলে এক সময় মেলে চাষ হত। সেই মেলে দিয়ে এলাকায় অনেকেই মাদুর তৈরী করে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করত।
কিন্তু দেশের আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কারনে সেই মেলে চাষ এলাকা থেকে হারিয়ে গেছে। তার সাথে হারিয়ে গেছে মাদুর তৈরীর মহাউৎসব।
কারন দেখা যেত এই সব এলাকায় নারী পুরুষ মিলে সারাদিন মাদুর বুনে সময় কাটাতো। কিন্তু সেটা ও এখন চোখে পড়ে না।
বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদের খোজে মটর সাইকেল নিযে চলতে চলতে হঠাৎ চোখে পড়ে মাদুর বুনার দৃশ্য ।
গাড়ি থেকে নেমেই ঐ গৃহবধূর একটা ছবি নিয়ে তার সাক্ষাৎ গ্রহন করলাম।
ঐ গৃহবধূর নাম মুনজুরি রানী সরকার । স্বামীর নাম পিযুস সরকার। বাড়ী সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বাতুয়াডাঙ্গা গ্রামে। গৃহবধূ মুনজুরি রানী সরকার এ প্রতিবেদক কে জানান আমাদের জমিজমা কিছুই নেই । এই মাদুর বুনেই আমাদের সংসার চলে। আমার এক ছেলে আর এক মেয়ে। চার জনের সংসার আমাদের। একটা মাদুর তৈরী করতে এক দিন লাগে। তবে তিনি আরো জানান মাদুর বিভিন্ন সাইজের তৈরি হয়। তাই কোনটা তিনশত আবার কোটা চার শত টাকা বিক্রয় হয়। এই মাদুর তৈরী করতে তাদের তালার মুক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অর্থ দেওয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানান । তাদের দেওয়া অর্থে আমরা মাদুর তৈরী করে থাকি। কারন বর্তমান মেলের যে দাম তাতে আমাদের মত গরীব মানুষের পক্ষে সম্ভব না ।
তিনি আরো জানান এই মাদুর তৈরীর পর আমার স্বামী দলুয়া মাদরা সহ বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে থাকে। খেশরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লালটু জানান এক সময় আমাদের ইউনিয়নে মাদুর তৈরী করার জন্য মেলে চাষ হত। কিন্তু আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারনে এই মেলে চাষ বন্দ হয়ে গেছে। যার কারনে মাদুর তৈরী না হওয়ার কারনে এটা এখন বিলুপ্তির পথে ।