২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হয়েছে রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায়। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে নিজেদের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করে। পরীক্ষার্থীরা বোর্ডভেদে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে রোল নম্বর দিয়ে ফল জানতে পারছেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে ফল প্রকাশের পরপরই অনেক শিক্ষার্থী ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে সমস্যার কথা জানান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী প্রবেশ করায় সাময়িকভাবে সার্ভার ধীর হয়ে পড়েছিল, যা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, চলতি বছর ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতার পুনঃমূল্যায়নের আবেদন করেছেন। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি—আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার এবং চ্যালেঞ্জ হওয়া খাতার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার।
বিষয়ভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে গণিতে—৪২ হাজার ৯৩৬টি খাতা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র—প্রতিটি পত্রে ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে আবেদন। পদার্থবিজ্ঞানে আবেদন এসেছে ১৬ হাজার ২৩৩টি খাতার জন্য এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে মোট ১৩ হাজার ৫৫৮টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণ হয়েছে। বিপরীতে সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে চারু ও কারুকলা বিষয়ে—মাত্র ৬টি খাতা।
শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় খাতা নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। বরং যাচাই করা হয় নম্বর সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, কোনো প্রশ্ন বাদ পড়েছে কি না, এবং ওএমআর শিটে নম্বর সঠিকভাবে উঠেছে কি না। প্রয়োজনে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর সর্বশেষ তথ্য বলছে, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট অকৃতকার্য হয়েছে ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন।