খুলনা শিশু হাসপাতালের অপকর্মের হোতা রাকিব ও শীলার বিরুদ্ধে অভিযোগ

এফএনএস (এম এ আজিম; খুলনা) : | প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
খুলনা শিশু হাসপাতালের অপকর্মের হোতা রাকিব ও শীলার বিরুদ্ধে অভিযোগ

ফ্যাসিবাদ আওয়ামীগের দোসর কর্তৃক ২০১০ সালে নিয়োগকৃত অপকর্মের হোতা স্থায়ীভাবে বরখাস্তকৃত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আল-আমিন রাকিব ও আওয়ামীলীগ কর্মী স্থায়ীভাবে বরখাস্তকৃত সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা শীলা হালদারের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে শিশু হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র শিশু সেবাকেন্দ্র "খুলনা শিশু হাসপাতাল"। এ শিশু হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সম্মিলিতভাবে সুষ্ঠু শিশু সেবা প্রদান করে আসছে। কিন্তু এই দুই অত্যাচারিত ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ খুলনা শিশু হাসপাতালে নিরীহ কর্মচারীদের উপর নির্মম ও অমানবিকভাবে অত্যাচার এবং হাসপাতালকে আর্থিক ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ একত্রিত হয়ে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনা শিশু হাসপাতাল এডহক কমিটির আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক হাসপাতালের শান্তি শৃঙ্খলা আনায়নসহ এবং নিবিড় সেবাদানের লক্ষ্যে উল্লিখিত স্বৈরশাসকদ্বয়কে ২০২৪ সালের ১৪ আগষ্ট অনুষ্ঠিত খুলনা শিশু হাসপাতাল এডহক কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দুই পদ থেকে উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেন।

কিন্তু একটি চক্রান্তমহল এই দুই ব্যক্তিকে পুনরায় স্বপদে বহাল করার লক্ষ্যে অবিধিমোতাবেক রাতের আধারে একটি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর উত্থাপন করেন।

এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

বর্তমানে খুলনা শিশু হাসপাতাল এডহক কমিটির সদস্য আওয়ামী দোসর ও মাস্টারমাইন্ড মো. মুনীর আহমেদ বিগত আওয়ামীলীগ কর্তৃক গঠনকৃত হাসপাতাল পরিচালনা বোর্ডের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি বহিষ্কৃত, অত্যাচারিত, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, হাসপাতালের অর্থ আত্মসাৎকারী দুই বিতাড়িত ব্যক্তিদ্বয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে স্বপদে বহাল করতে খুবই আন্তরিক হয়ে উঠেছেন।

হাসপাতালের কর্মীদের কাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য রাকীবের মত দক্ষ লোকের দরকার বলে মনে করেছেন হাসপাতাল এডহক কমিটির সদস্য মো. মুনীর আহমেদ এমন মন্তব্য বিভিন্ন সুত্র থেকে উঠে এসেছে।

এই উক্তির আলোকে সম্মিলিতভাবে উক্ত সদস্যকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তি মো. মুনীর আহমেদ খুলনা শিশু হাসপাতালের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভার আলোচনার মূল পয়েন্টে ভেটো প্রদান করেন। যেমন-হাসপাতালের সকল কর্মরত স্টাফদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসককে সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত 'বিশেষ সুবিধা" ও ১০০% গ্রাইচ্যুইটি বিধি মোতাবেক দিতে আন্তরিক থাকলেও নিজে স্ববিষয়ে বিজ্ঞ, অস্বচ্ছ ও কলুষিত মনের ব্যক্তি মো. মুনীর আহমেদ অনেক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। উক্ত ব্যক্তি হাসপাতালের সুন্দর পরিবেশ উত্তাল এবং নিবিড় শিশু সেবাদানের বাঁধা সৃষ্টি করায় হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ হাসপাতাল এডহক কমিটির সদস্য পদ থেকে মো. মুনীর আহমেদকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণ চাই।

বর্তমান হাসপাতালে এক অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। উক্ত পরিবেশ শান্ত করার লক্ষ্যে জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন এবং আগামী ৭(সাত) কার্যদিবসের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত করার জন্য মো. মুনীর আহমেদকে এডহক কমিটি থেকে অপসারণ এবং স্থায়ীভাবে বরখাস্তকৃত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আল-আমিন রাকিব ও সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা শীলা হালদার এর বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে নিষ্পতি করে শুন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রদান করে হাসপাতালের সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে সেবাদানকে ত্বরান্বিত করার দাবি জানিয়েছেন হাসপাতালের স্টাফবৃন্দ।


আপনার জেলার সংবাদ পড়তে