রাজশাহীতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও দুই সহযোগীর ৫ দিনের রিমান্ডে

এম এম মামুন; রাজশাহী | প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
রাজশাহীতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও দুই সহযোগীর ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জে একটি কোচিং সেন্টারে সেনাবাহিনী অভিযানে আটক পরিচালকসহ দুই সহযোগীকে পাঁদনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন আদালত।অভিযানে অস্ত্র, গুলি ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম। মামলায় ওই অভিযানে আটক তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামীরা হলেন, ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টারের পরিচালক মোন্তাসেরুল আলম ওরফে অনিন্দ্য (৩৩) এবং তাঁর দুই সহযোগী মো. রবিন (২৮) ও মো. ফয়সাল (৩০)। নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোতালেব হোসেন বলেন, রোববার বেলা ৩টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজার করে সাতদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানী শেষে বিচারক মামুনুর রশিদ তাদের পাঁদনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার মোন্তাসেরুল আলম রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শফিউল আলমের (লাট্টু) ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আত্মীয়। নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় বাড়ির পাশে ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন মোন্তাসেরুল আলম। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোচিং সেন্টারে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, সামরিক মানের দুরবিন, জিপিএস, স্নাইপার স্কোপ, দেশি অস্ত্র, বিদেশি ধারালো ডেগার, উন্নতমানের ওয়াকিটকি সেট, টিজার গান, অব্যবহৃত সিমকার্ড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটার, দেশি-বিদেশি মদ এবং নাইট্রোজেন কার্টিজ। এ ছাড়া অস্ত্রের খোঁজে কোচিং সেন্টারের সামনে পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা খোঁজ করেও কিছুই পাওয়া যায়নি। মোন্তাসেরুল আলম ২০১৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় ‘সন্দেহভাজন আসামি’ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে মামলার অভিযোগপত্র থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে