জাতি, ধর্ম, বর্ণ ভিন্নতা থাকলেও সম্প্রীতির বন্ধন সু-দৃঢ় করতে হবে -জেলা প্রশাসক

আসন্ন ধর্মীয় উৎসবকে লক্ষ্য করে লক্ষ্ণীছড়িতে সম্প্রীতি সভা

এফএনএস (মোবারক হোসেন; লক্ষ্ণীছড়ি, খাগড়াছড়ি) : | প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
আসন্ন ধর্মীয় উৎসবকে লক্ষ্য করে লক্ষ্ণীছড়িতে সম্প্রীতি সভা

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্ণীছড়ি উপজেলায় সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

২২সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে লক্ষ্ণীছড়ি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সম্মেলন কক্ষে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল। সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটু কুমার বড়ুয়া।

সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ভূইয়া। আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: ফোরকান হাওলাদার, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মো: মোবারক হোসেন, উপজেলা জামায়াতের আমির মো: ইদ্রিস আলী, ইমাম মাও. মো: আনোয়ার উল্লাহ, লক্ষ্ণীছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা, হেডম্যান উলাপ্রু চৌধুরী, পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রিংকু দাশ, বাইন্যাছোলা বিহার অধ্যক্ষ সূবর্ণ স্থবির, কার্বারী রতন বিকাশ চাকমা, ছাত্র প্রতিনিধি রুপন চাকমা প্রমুখ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ ভিন্নতা থাকতে পারে, দলমত আলাদা হতে পারে। কিন্তু ঐক্যের প্রশ্নে দ্বিমত থাকতে পারে না। তিনি বলেন, সকল সম্প্রদায়ের একে অপরের ভালোবাসা ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বন্ধন সু-দৃঢ় করতে হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করতে হবে উৎসব মুখর পরিবেশে, এই উৎসব, আনন্দ বাড়িয়ে আরো ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মধ্য দিয়ে এ উৎসব উদযাপন করলে সমাজে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হতে বাধ্য। লক্ষ্ণীছড়ি উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভালো সন্তোষ প্রকাশ করে আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে আশাবাদ ব্যক্ত করে সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সম্মিলিত আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।