জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সবশেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
সাক্ষ্যগ্রহণের শুরুতে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন ভিডিও উপস্থাপন করেন, যা গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। এটি মামলার ৫৪তম এবং চূড়ান্ত সাক্ষী হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এর আগে শনিবার প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, শেখ হাসিনার মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন।
গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা। সাক্ষ্যপ্রদানের সময় জব্দকৃত চারটি ফোনালাপ বাজিয়ে শোনানো হয়, যা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এই ফোনালাপগুলোর মধ্যে একটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও শেখ হাসিনা সম্পর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে, দুটি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে এবং একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামালের সঙ্গে সংরক্ষিত।
মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রথমে তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জানে আলম খান দায়িত্বে ছিলেন। পরে উপ-পরিচালক মো. আলমগীর তদন্ত গ্রহণ করেন, যেখানে বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহার সহায়তা ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন, ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ জমা হয় এবং ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল গত ১০ জুলাই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুনকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে আবেদন মঞ্জুর করেন।