বরিশালের মুলাদীতে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাশারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হওয়ার পরেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলেরা। সোমবার মুলাদী উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আবুল কালাম মাঝি ও পৌর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইব্রাহিম মোল্লাসহ অন্যান্য জেলেরা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মৎস্য কর্মকর্তার অপসারণ না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মো. কামরুল হাসান।
জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টার দিকে মুলাদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দূর্ণীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন জেলেরা। জেলেরা মুলাদী পৌরসভা চত্বর থেকে মিছিল শুরু করে পৌর সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করেন। এসময় জেলেরা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাসোহারা নেওয়া, জেলেদের হয়রনী, জাল পুড়িয়ে দেওয়া, মাসোহারার বিনিময়ে অসাধু জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তারা দ্রুত মৎস্য কর্মকর্তার অপসারণের দাবিও করেন। তাদের দাবি পূরণ না হলে উপজেলা মৎস্য দপ্তরে ঘেরাও করার হুমকি দেন।
ওই সময় উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আবুল কালাম মাঝি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, পৌর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. ইব্রাহীম মোল্লাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আবুল কালাম মাঝি বলেন, মৎস্য কর্মকর্তার অনিয়ম, দূর্ণীতি ও হয়রানীতে সাধারণ জেলেরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অসাধু জেলেদের অবৈধ সুযোগ দেওয়ায় প্রকৃত জেলেদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ওই কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। এর পরেও মৎস্য অধিদপ্তর তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জেলেরা পরবর্তী কর্মসূচি পালনের জন্য শীঘ্রই মাঠে নামবে।
এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মো. কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রোববার বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছি। মুলাদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলেদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের বিষয়টি জানা নাই। তবে জেলেদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’