আজ বিজয় দশমী রাতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। পাথরঘাটা উপজেলায় ৪০ টি দূর্গা পূজা মন্ডপের দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে। উপজেলার বিভিন্ন এর মানে একজন হলেও পৌর শহরের মধ্যে দুটি বিসর্জন হয় রাতে। বিজয়া দশমী সনাতনীদের শারদ উৎসব বা দুর্গোৎসবের শেষ দিন, আজকে দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে (দেবালয়) ফিরে যাবেন। মর্ত্যলোক বলতে মা দুর্গার বাবার বাড়ি কি বুঝানো হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপিত হয়েথাকে, যা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
সকালে উপজেলার দূর্গা পূজা মণ্ডপগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিহিত পূজা। এরপর বেলা দশটার মধ্যে স্ব স্ব মন্দিরের পুরোহিত দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিজয়া দশমির অনুষ্ঠানিকতক শেষ করেন। বিজয়া দশমীতে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে।
সনাতন মনে করেন, মানুষের মনের অসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ বিসর্জন দেওয়াই বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এসব প্রবৃত্তি বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
দেবী দুর্গার বিসর্জনের আগে বনিকদের বানিজ্য যাত্রার পূর্বে এই দশমিতে মায়ের পায়ে খাতা,হাত নিক্তি স্পর্শ করে তারা বানিজ্য যাত্রায় নেমে পরেন।মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠবেন সনাতনী নারীরা। দেবীর চরণের সিঁদুর নিয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে দেন বা রাঙিয়ে তোলেন। শাস্ত্রমতে, স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা দেবী দুর্গার সিঁথিতে দেওয়া সিঁদুর নিজের সিঁথিতে লাগিয়ে আশীর্বাদ পুষ্ট হন ও পতি পরমেশ্বরের জন্য মাযের নিকট আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। বিভিন্ন রকমের নাড়ু, মিষ্টি শেষে পান নিয়ে মাকে নিবেদন করেন। আগাম একটি বছর পরে দেবালয়থেকে মা আবার আশুরিক শক্তি নিধনে মর্তলোকে আসবেন এই প্রত্যাশায়। দুর্গা মাকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে দেন তারা। সিঁদুর খেলা শেষে শেষবারের মতো দেবীর আরাধনা করেন তারা।