শাহবাগে রাতভর অবস্থান শিক্ষক নিয়োগপ্রার্থীদের, আজ লং মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৩৪ এএম | প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৩৪ এএম
শাহবাগে রাতভর অবস্থান শিক্ষক নিয়োগপ্রার্থীদের, আজ লং মার্চ

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীরা ঢাকার শাহবাগে রাতভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ জারির দাবিতে তারা রোববার রাতে শাহবাগে মোমবাতি মিছিল করে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান শুরু করেন।

রোববার সকাল থেকে দিনভর শাহবাগে ‘মহাসমাবেশ ও বিক্ষোভ’ করেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। সন্ধ্যার পর সাড়ে ৮টায় মোমবাতি হাতে তারা মিছিল করেন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি টিএসসি ঘুরে আবার জাদুঘরের সামনেই এসে শেষ হয়। এরপর তারা সেখানে অবস্থান শুরু করেন।

আন্দোলনরত প্রার্থীদের নেতা খোরশেদ আলম রাত ১০টায় গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সারারাত এখানে অবস্থান করব। সোমবার সকাল ১০টায় এনটিআরসিএ কার্যালয়ের দিকে লং মার্চ করব।” তিনি আরও বলেন, “বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি না হলে আমরা এনটিআরসিএ কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

খোরশেদ আলম জানান, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৬৫ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত জুনে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি হলে তারা আবেদন করেন, কিন্তু ফলাফলে বিপুল শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও ১৮তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থী নিয়োগ সুপারিশ পাননি।

তিনি বলেন, “চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্য থাকা পদ যুক্ত করে অক্টোবরের মধ্যেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এনটিআরসিএ যদি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে, আমরা উত্তীর্ণ প্রার্থীরা শিক্ষকতার সুযোগ পাব।”

গত ১৬ জুন প্রকাশিত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৮২২টি শূন্য পদে নিয়োগের আবেদন চেয়েছিল এনটিআরসিএ। আবেদন গ্রহণ চলে ২২ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত। পরবর্তীতে ১৯ আগস্ট প্রকাশিত ফলাফলে ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী নিয়োগ সুপারিশ পান। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের যোগদানের সময় নির্ধারণ করা হয়।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম ৩০ সেপ্টেম্বর এক কর্মশালায় বলেন, “খালি চোখে মনে হয় পদ অনেক, কিন্তু বিষয়ভিত্তিক ভারসাম্যহীনতার কারণে সবাই সুপারিশ পান না। কোনো বিষয়ে প্রার্থী বেশি হলে অনেকেই বাদ পড়েন, আবার অন্য বিষয়ে শূন্য পদ থেকে যায়।”

প্রার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিনের আশায় থেকেও শিক্ষকতার সুযোগ না পেয়ে তারা এখন রাস্তায় নেমেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না বলেও তারা ঘোষণা দিয়েছেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে