মাত্র কয়েকটি দিন হলো, নাহিদ রানাকে কাছ থেকে দেখছেন মিকি আর্থার। তবে যেটুকু দেখেছেন, তাতেই তরুণ ফাস্ট বোলারকে দারুণভাবে মনে ধরেছে রংপুর রাইডার্স কোচের। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানে কোচিং করিয়ে বিশ্বমানের পেসার কম দেখেননি বিশ্ব ক্রিকেটের পরিচিত এই কোচ। একটু দেখেই তিনি বুঝে গেছেন, নাহিদ বিশেষ একজন। গত মার্চে আন্তর্জাতিক অভিষেক সিরিজেই গতির ঝড় তুলে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছেন নাহিদ। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, তত মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন দীর্ঘদেহী পেসার। দেশে তো বটেই, দেশের বাইরের অনেক সাবেক ক্রিকেটার, ক্রিকেট বিশ্লেষকরা নাহিদের ব্যাপারে করেছেন উচ্ছ্বসিত মন্তব্য। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন রংপুর কোচ আর্থার। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে ৪০ রানের জয় পায় রংপুর। খুশদিল শাহ ও শেখ মেহেদি হাসানের চমৎকার পারফরম্যান্সের ম্যাচে ব্যাটিং উইকেটে ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দেন নাহিদ। তিন ওভারে কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি ২২ বছর বয়সী পেসার। এই ম্যাচে ও অনুশীলনে নাহিদকে যতটুকু দেখেছেন, তার কিছু ব্যাপার আলাদা করেই মন কেড়েছে আর্থারের। “নাহিদ রানা খুবই স্পেশাল। বাংলাদেশ থেকে এমন দ্রুতগতির একজন বোলার উঠে আসতে দেখা দারুণ ব্যাপার। সে খুব খুব ভালো। আমি মনে করি, সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দূর যাবে।” “তার গতি আছে, ভালো লেংথে বল করে, একইসঙ্গে বোলিংয়ে বেশ ধারাবাহিক। তার ভালো এবং খারাপ বোলিংয়ের ব্যবধান খুব বেশি না, একদমই কাছাকাছি। সে খুবই রোমাঞ্চকর একজন ফাস্ট বোলার।” নাহিদকে নিয়ে এবারের বিপিএলে রংপুরের পরিকল্পনাও পরিষ্কার করে দেন আর্থার। প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে আসেন নাহিদ। দুই ওভারের স্পেল শেষ করে আবার ১৮তম ওভারে তাকে বোলিংয়ে আনেন নুরুল হাসান সোহান। রংপুর কোচ বললেন, মাঝের ওভারগুলোতে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং অর্ডারে কাঁপন ধরানোর কাজটিই নাহিদের কাছ থেকে দেখতে চান তারা। “নাহিদকে বোলিং করতে দেখা দারুণ ব্যাপার। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে। কারণ টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ওভারে উইকেট নিতে হবে। নয়তো প্রতিপক্ষ শেষের ওভারগুলোতে ম্যাচ জিতে নেবে। ঠিক এই জায়গায় সে দলের জন্য অসাধারণ এক অস্ত্র। খুবই রোমাঞ্চকর।