আমতলীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা, পরীক্ষা বন্ধ

এফএনএস (মোঃ আবদুল্লাহ আল নোমান; আমতলী, বরগুনা) : | প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
আমতলীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা, পরীক্ষা বন্ধ

আমতলী উপজেলার ১৫২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা শাটডাউন কর্মসুচী পালন করছেন। তারা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে চতুর্থ দিনের মত বুধবার পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সফিউল আলম বলেন, বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। 

জানাগেছে, দশম গ্রেডসহ তিনদফা দাবীতে গত ৮ নবেম্বর থেকে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসুচী পালন করছেন। গত ১০ নবেম্বর শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেডের কাজ চলছে বলে মন্ত্রনালয়ের অনুরোধে তারা কর্মসুচি প্রত্যাহার করে। কিন্তু ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহকারী শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেডে উন্নীত করণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এতে বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষকরা ফের কর্মসুচী পালন করেন। সোমবার উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু সরকার দাবী মেনে না নেয়ায় সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করেছেন। বুধবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচী অনুসারে শাটডাউন কমৃসুচী পালন করছেন শিক্ষকরা। এতে তারা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ফলে বুধবার পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। পরীক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে তালা দেয়া দেখে বাহিরে ছুটাছুটি করে বাড়ীতে চলে গেছেন। এতে উপজেলার ১৫২ টি বিদ্যালয়ের ২৪ হাজার কোমলমতি পরীক্ষার্থী ও তাদের অর্ভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পরেছেন।  

বুধবার আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখাগেছে,  বিদ্যালয়ে তালা দেয়া। পরীক্ষার্থীরা বাহিরে ছুটাছুটি করছে। এছাড়াও উপজেলার গ্রামাঞ্চলের সকল বিদ্যালয় তালা দেয়া। কেউ পরীক্ষা নেয়নি। একে হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক তালা ভেঙ্গেছেন। 

আঙ্গুলকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর পরীক্ষার্থী এনামুল, চাঁদনী ও শাহারা বলেন, সহকারী শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে তালা দিয়েছেন, তাই আমরা পরীক্ষা দিতে পারিনি। 

অভিভাবক রিপন মুন্সি বলেন, শিক্ষকরা তাদের দাবী আদায়ে শাটডাউন কর্মসুচী পালন করছেন। তারা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিরে দিয়েছেন। আমার মেয়ে পরীক্ষা না দিয়ে বাড়ী ফিরে এসেছেন। 

আমতলী উপজেলার আঙ্গুলকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, শিক্ষকরা শাটডাউন কর্মসুচী পালন করছেন।  তারা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় পরীক্ষা নিতে পারছি না। 

আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চাওড়া পাতাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ১০ জন সহকারী শিক্ষক তারা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আমি নিরুপায় হয়ে বাহিরে বসে আছি। তিনি আরো বলেন, এমন অবস্থায় পরীক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ে আসছে না। 

বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি একে হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম জিল্লুর রহমান বলেন, সকালে বিদ্যালয়ে এসে দেখি নতুন তালা দেয়া। পরে অভিভাবকরা ক্ষুব্দ হয়ে তালা ভেঙ্গেছেন। কিন্তু সহকারী শিক্ষকরা কেউ বিদ্যালয়ে আসেনি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে