মহান বিজয় দিবস আজ ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালি জাতির ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল এই দিনে বিজয়ের ৫৪ বছর পূর্তি হলো, আর ৫৫ বছরে পা রাখল স্বাধীন বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি অর্জন করেছিল কাঙ্ক্ষিত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ নামের একটি রাষ্ট্রের। দিনটি তাই এ দেশের মানুষের কাছে চিরকাল গর্ব, অহংকার ও অনুপ্রেরণার প্রতীক।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেটজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল হাতে নিয়ে জড়ো হন হাজারো মানুষ। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান।
এবারই প্রথম সিলেটের জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলমের নির্দেশনায় বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেটের সকল ব্যবসায়ী সংগঠন, বহুতল মার্কেট, বাজার ও বাণিজ্যিক ভবনে সকাল ৬টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
জেলা প্রশাসনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বেলা ১১টায় কবি কাজী নজরুল অডিটরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। একইদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ঐতিহাসিক ক্বিন ব্রিজ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালির আয়োজন করে। সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রশক্তি ও যুবশক্তির যৌথ উদ্যোগে এ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে।