বিজয় দিবস উপলক্ষে খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসবমুখর পরিবেশ ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা পরিষদ ভবনসহ সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ছয়টায় উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, থানা পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পাইকগাছা সরকারি বয়েজ স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মূল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অনুষ্ঠানে পৌরসভা ১১টি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউট, গার্লস গাইডস ও ক্রীড়া সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হয়। পরে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনা তুলে ধরে। অনুরূপ উপজেলার কপিলমুনি বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধে সম্মিলিত মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি সকাল সাড়ে ৮টায় পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। কপিলমুনি মেহেরুন্নেচ্ছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালশয়ের আয়োজনে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুলিশ ফাঁড়ি, কপিলমুনি প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। সকাল ৯টায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।