নীলফামারীর সৈয়দপুরে অন্যের জমিতে জোরপুর্বক বাঁশের চালা তোলার অভিযোগ মিলেছে। ওই চালার মধ্যে গরু ছাগল বেঁধে রাখার স্থান তৈরি করেছে আব্দুস সামাদ নামে এক প্রতিবেশী। ফলে পশুর বিষ্ঠার দুর্গন্ধে বাড়ীতে থাকা দুস্কর হয়ে পড়েছে। এতে পরিবেশ দুষনসহ দুর্ভোগে পরেছে অন্য প্রতিবেশিরা। এমন অভিযোগ করেন জমির মালিক মিজানুর রহমান। এ বিষয়ে ৪ ডিসেম্বর সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জমির মালিক মিজানুর রহমান বলেন,আমার বাড়ী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে। আর আমার প্রতিবেশী আব্দুস সামদের বাড়ি কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রহ্মত্তর গ্রামে। পাশাপাশি বাড়ি হলেও সীমানা পড়েছে দুই ইউনিয়নে। হঠাৎ করে সামাদ আমার সীমানায় এসে জোর করে আমার জমিতে চালা ঘর তোলে। এতে আমি বাঁধা দিলে সামাদ তার স্ত্রী জাহেদা বেগম, ছেলে আরিফ চালা সড়িয়ে না নিয়ে উল্টো আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারা দুর্দান্ত প্রকৃতির খারাপ লোক। যে কোন সময় বড় ধরনের অপরাধমুলক ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আমি সৈয়দপুর থানায় ৪ ডিসেম্বর আরিফ হোসেন,আব্দুস সামাদ ও জাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ৫ ডিসেম্বর ঘটনা তদন্তে আসেন। তদন্ত শেষে পুলিশ চলে এলে বিবাদীগন আরো বেপড়োয়া হয়ে ওঠে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জমি মালিক জানান ওই আরিফ হলেন নিষিদ্ধ আওয়ামী যুবলীগের কামারপুকুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ব্রহ্মতরের কর্মী। তার বাবা আব্দুস সামাদ একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কর্মী। ফলে তাদের দাপটের শক্তি এখনো কমেনি। যে কোন ধরনের ঘটনা তারা ঘটাতে পারে। তাই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ৩১ জুলাই ওই ব্যক্তিরা আমার জমি জোর করে দখল নিতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। সে সময় আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। আজ ১১ বছর পর আবার তারা আমার জমিতে জোর করে চালা তুলেছে। আমি তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।