স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-এর

প্রেস বিজ্ঞপ্তি | প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-এর

ঢাকার ৮ আসনে আসন্ন নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থী ওসমান হাদীকে হত্যা এবং হত্যাকে কেন্দ্র করে সারাদেশ ব্যাপী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লালটু। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে তাঁরা জানান, "হাদীর হত্যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার এক অশনি সংকেত। কিন্ত এই হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সারাদেশে গণঅভ্যুত্থান চরম নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, শ্রমিক হত্যা, আদিবাসী হত্যা, বাউল মাজারের উপর মব আক্রমণের একটা ধারাবাহিক ঘটনার অংশ। " বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, "গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকা ৮ আসনের আসন্ন নির্বাচনের মনোনীত প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদীকে সন্ত্রাসীরা গুলিবিদ্ধ করে। ৬ দিন চিকিৎসাধীন  থাকাকালীন গতকাল রাত ৯:৪৫ এ তিনি নিহত হন। আমরা তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করছি। কিন্ত এই ৬ দিনে অন্তর্বর্তী সরকার হাদী হত্যার বিচার নিয়ে চরম প্রহসন করেছে। তাঁর হত্যাকারীকে পালিয়ে যেতে দিয়েছে এবং তদন্তে নানান অসঙ্গতি করে কালক্ষেপণ করেছেন। সন্ত্রাসী চিহ্নিত হওয়ার পরেও তাকে বিচারের আওতায় না আনার মধ্য দিয়ে সরকার হাদীর হত্যার বিচারে যে আসলে তৎপর ছিলো না সেইটাই প্রতীয়মান। হাদীর হত্যাকে কেন্দ্র করে গতকাল মধ্যরাতে এক প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সারাদেশে সন্ত্রাসী হামলা শুরু করে। উল্লেখ্য যে, তাদের এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিলো এবং হাদীর বিচারকে অন্যখাতে নিয়ে দেশকে অস্থিশীল করাই এই  সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর  মূল উদ্দেশ্য ছিলো। একাধারে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ভবন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ,  ময়মনসিংহ ভালুকায় এক শ্রমিককে 'ধর্মের কটুক্তি' এর অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত করা হয়। কিন্ত আমরা দেখতে পেলাম যে, এই ঘটানাকে প্রতিরোধ করার জন্য সরকার কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করলো না। এর দ্বারা বোঝা যায় যে, সরকার এই সন্ত্রাসের পক্ষালম্বনই করছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে, " ভারত রাষ্ট্রটি পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা এবং তার নেতাকর্মীদেরকে আশ্রয় দিয়ে এবং নানাবিধ অপতৎপরতায় পরোক্ষ মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে প্রায়ই অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে। ভারত রাষ্ট্রকে এই ধরণের ষড়যন্ত্রমূলক অবস্থান পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্বান জানানো হচ্ছে। অপরদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসী হামলাগুলো সংঘটিত করার পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে, একইসাথে নানান বৈদেশিক চুক্তির মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী আঁতাতের সাথে যুক্ত হয়ে জনবিরোধী অবস্থান নিয়েছে"। বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মনে করে যে, এই ধরণের জনবিরোধী ব্যর্থ সরকার তার দায়িত্বে থাকার নৈতিক সমর্থন হারিয়েছে। অবিলম্বে হাদীর হত্যাসহ সকল সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানায় বিবর্তন। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে