ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর।
১৯ ডিসেম্বর রাত ১১ টায় ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সৈয়দপুর থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সৈয়দপুরে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয় সৈয়দপুর থানা পুলিশকে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও',ওসমান হাদীর রক্ত বৃথা যেতে দেব না, 'খুনি আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও'এমন বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সৈয়দপুর থানার মূল ফটকের সামনে এসে অবস্থান নেয়।
বক্তাদের হুঁশিয়ারি অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্র সমন্বয়ক ও স্থানীয় জনতা বক্তব্য রাখেন। তাদের দাবিগুলো হলো: ওসমান হাদী হত্যার বিচার: ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীকে গুলি করে হত্যার নেপথ্যে থাকা মাস্টারমাইন্ডদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ গ্রেফতারের আল্টিমেটাম:বক্তারা অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনও সৈয়দপুরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ষড়যন্ত্র করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা না হলে থানা ঘেরাওসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আগ্রাসন বিরোধী অবস্থান: ভারতের মদদে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানান আন্দোলনকারীরা।
পুলিশের বক্তব্য বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশ্বস্ত করেন যে, অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতাকে শান্ত থাকার এবং আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তার আহ্বান জানান। পরে ছাত্র-জনতা আল্টিমেটাম দিয়ে থানার সামনে থেকে সরে যায়।