পাহাড়ে জেকে বসেছে শীত; চাহিদা বেড়েছে লেপ-তোশকের

এফএনএস (সাকিব মামুন; লংগদু ও বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি) : | প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম
পাহাড়ে জেকে বসেছে শীত; চাহিদা বেড়েছে লেপ-তোশকের

পাহাড়ে তীব্র শীতের প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ পুরোনো লেপ-তোশকগুলো ব্যবহার উপযোগী করে নিচ্ছেন, আবার কেউ নতুন করে তৈরি করছেন। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের লেপ-তোশকের কারিগররা।

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু সদর, মাইনী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের লেপ-তোশকের দোকানে দেখা যায়, পাঁচ ফুট বাই সাত ফুট সাইজের তোশক বানাতে ২০০০-২৫০০ টাকা, ছয় ফুট বাই সাত ফুট সাইজের তোশকে ৩২০০ টাকা খরচ পড়ছে। আর সাইজ ভেদে লেপ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১৫০০ টাকা।

পাহাড়ের বৃহত্তর মাইনী বাজারে লেপ বানিয়ে নিতে আসা বগাচতর ইউনিয়নের মধুমাছড়া গ্রামের শাহ জালাল বলেন, ‌‘এবার শীতে রাতে ঠান্ডার দাপট দেখা দিয়েছে। তীব্র শীত শুরু হলে দোকানগুলোতে বেশি চাপ থাকে। তাই আগেভাগেই একটি পুরোনো লেপের তুলার সঙ্গে আরও এককেজি তুলা দিয়ে নতুন কাপড় লাগিয়ে সেলাই করে নিচ্ছি। সঙ্গে একটি নতুন তোশকও নিচ্ছি। তবে আমার কাছে আগের চেয়ে তুলা ও কাপড়ের দাম অনেকটা বেশি মনে হলো।’

লংগদু সদর বাজারে তোশক বানিয়ে নিতে আসা আটারকছড়া ইউনিয়নের সমিতির দোকান এলাকার গৃহিণী রনিতা চাকমা বলেন, ‘বাড়িতে একটি তোশক ছিল। সেটি পুরোনো হয়ে গেছে, ছিঁড়েও গেছে। তাই সেটি নতুন করে ঠিক করতে দিতে এসেছি। ১২০০ টাকা খরচ পড়ে গেলো। তিন বছর আগে নতুন নিয়েছিল দুই হাজার টাকা। এবার ঠিক করতে লাগছে ১২০০ টাকা।’

লেপ-তোশকের কারিগর আবদুল মান্নান বলেন, ‘আগে পাঁচ হাত বাই পাঁচ হাত সাইজের রেডিমেড লেপের দাম পড়তো ১১০০ টাকা, এখন হয়েছে ১২০০ টাকা। অর্ডার দিয়ে ওই সাইজের লেপ বানালে তুলার মানভেদে খরচ পড়বে ১৫০০-২০০০ টাকা। লেপের কভারসহ সেটা বিক্রি হবে ২২০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় ১০০-২০০ টাকা বেশি দাম পড়বে।’

এ বিষয়ে মাইনী বাজার কমিটির নেতা আবুল কাশেম বলেন, ‘লেপ-তোশকের বেচাবিক্রি এখন আর আগের মতো নেই। রেডিমেড কম্বল লেপ-তোশকের বাজার দখল করে ফেলেছে। যারা কোনোমতে এ পেশায় টিকে আছেন, তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা প্রয়োজন।’ নাহয় অদূর ভবিষ্যতে  জীবিকার তাগিদে তাদের পেশা পরিবর্তন করতে হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে