রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আইএইচআরসি ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে জুলাই বিপ্লবের সম্মুখ সারীর যোদ্ধা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট সাবেক ছাত্রনেতা এম এ হাশেম রাজু বলেন, আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে হাদীর খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হলে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ জাতিসংঘের নিকট বিচার দাবি করে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। শহীদ হাদী ছিলেন এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানচিত্র ও আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠার এক অকুতোভয় ভ্যানগার্ড। জীবিত হাদীর চেয়ে শহীদ হাদী আরো লাখো কোটি গুণ শক্তিশালী। হাদীর আদর্শ বুকে ধারণ করে এদেশের ছাত্র-জনতা আধিপত্যবাদী শক্তি ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে আজন্ম লড়াই করে যাবে। তিনি আরো বলেন, নিউ এইজ’র সম্পাদক দেশপ্রেমিক বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর নুরুল কবির সারাজীবন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন। জুলাই আন্দোলনে জনমত তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। তাঁকে হেনস্তা করা মানে জুলাই বিপ্লবকে হেনস্তা করা। এই হেনস্তাকারীদের প্রকাশ্য ভিডিও থাকার পরও কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়। দেশের আইনশৃঙ্খলতা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নুরুল কবির ও বিভিন্ন গণমাধ্যম অফিসে হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইএইচআরসি ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মিনহাজ প্রধানের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় উপপরিচালক কামরুল ইসলাম মজুমদারের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আইএইচআরসি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন শিমুল, প্রফেসর মোহাম্মদ বাবর চৌধুরী, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, প্রফেসর নার্গিস আক্তার হেনা, ঢাকা মহানগরের সংগঠক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সেলিম গফুর, মির্জা আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, মোঃ আল-আমিন, মোঃ কামরুল মোল্লা, মোঃ আব্দুল হক প্রমুখ।