কাউখালীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়ায় সর্বত্রই শীতে জবুথবু অবস্থা। গত চার দিন ধরে কাউখালীতে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যপ্ত হয়ে পড়েছে। গণ কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মেলা দায়। শীতের তীব্রতা বাড়ায় উপজেলার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ ক্রেতারা। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ কম মূল্যে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ভিড় জমাচ্ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা বেশ জমজমাট। উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। বিশেষ করে এর ক্রেতা হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বিভিন্ন রিকশা বা ভ্যান চালক সহ বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষ দোকানে গরম কাপড় কেনার ভিড় জমাচ্ছে। পুরাতন কাপড়ের মধ্যে রয়েছে সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, গরম টুপি, চাদর, ব্লেজার, বিভিন্ন ধরনের মাফলার, মোটা গেঞ্জি সহ বিভিন্ন ধরনের গরম পোশাক। এ সমস্ত দোকানে দামও তুলনামূলক কম। বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। এছাড়া মোটা গেঞ্জি, সোয়েটার ও চাদর পাওয়া যায় ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। রিক্সা চালক সবুজ মোল্লা আক্ষেপ করে বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কিংবা বেসরকারিভাবে কোন কম্বল পাওয়া যায়নি। ফুটপাতের দোকান থেকে ১২০ টাকায় একটি কম্বল ক্রয় করেছি। দিনমজুর শাহিন বলেন, ১৫০ টাকা দিয়ে একটি জ্যাকেট ক্রয় করেছি।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কম্বল চাইতে গেছিলাম তারা বলেন নির্বাচনের আচরণবিধির কারণে দেয়া যাবে না। তাহলে সরকারিভাবে গরিবদের জন্য কম্বল দেয়া হোক।