জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি আজ (৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল (৮ জানুয়ারি)
আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের
বাতিলের জন্য আরজি জানিয়েছেন। আইনজীবীরা দাবি করেছেন, বেগম জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলায়’সাজা
দেওয়া হয়েছে এবং তার চিকিৎসার জন্য বারবার আবেদন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তারা আরও
বলেন, “জীবন থেকে কয়েকটি বছর কেড়ে নেওয়া হয়েছে, এটা কি ফিরে দেওয়া হবে?”
শুনানিতে খালেদা
জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, “জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে খালেদা জিয়া
কোনও দায়িত্বে ছিলেন না এবং ট্রাস্টের অর্থে কোনো তসরুপ ঘটেনি।”
তিনি দাবি করেন, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ
থেকে বিরত রাখতে তাকে হয়রানি করা হয়েছে।
২০১৮ সালে জিয়া
অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরবর্তীতে
হাইকোর্টে আপিলের পর তার সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করা হয়। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া লিভ
টু আপিল করেন, যা আপিল বিভাগ মঞ্জুর করে।
এই মামলায় আইনজীবী
কায়সার কামাল আশাবাদী, “আমরা আশা করি, তিনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং এই মামলায় তার সাজা
বাতিল হবে।” আজকের শুনানির পর এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।