দিঘলিয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

এফএনএস (সৈয়দ জাহিদুজ্জামান; দিঘলিয়া, খুলনা) : : | প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:২৮ এএম : | আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
দিঘলিয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

পহেলা নভেম্বর থেকেই বাঙালীর ঐতিহ্য নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষকের ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের জোয়ার। নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসবে মাতোয়ারা গ্রাম বাংলার কৃষক-কৃষানিরা।  খুলনার দিঘলিয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলন। ফসলী মাঠে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে বইছে তৃপ্তির হাসি। প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ১৮ মন ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষক। বাজার দরও চড়া থাকায় প্রতি মন ধান বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায়। সরেজমিনে ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এবারে ২ হাজার ৯৭৭ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী জাতের) ৯ হাজার ৭২৭ হেক্টর জমিতে ও স্থানীয় জাতের ২০ হাজার ২৫০ হেক্টরে আমন ফসল উৎপাদন করেছেন কৃষকেরা। মাঠ জুড়ে সোনালী ফসলের সমারোহ চারিদিকে মৌ-মৌ গন্ধ। বাম্পার ফলনে কৃষকের ঘরে ঘরে বইছে উৎসবের আমেজ। সপ্তাহ জুড়ে মাঠে মাঠে কর্তন শুরু হয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের একাধিক প্রজাতির আমন কর্তন। রবিবার ব্রহ্মগাতী গ্রামের কৃষক আবুল কালাম, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, রায়হান মুসল্লী, বিপ্লব, বিপুলসহ একাধিক কৃষকরা মাঠে ধান কাটা ও ধান মাড়াই করে ধান ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলন ভালো হওয়ায় বেজায় খুঁশী তারা। তৃপ্তির হাসি দিয়ে ধান কাটা এ কৃষকরা বলেন গতবারের চেয়ে এবারে প্রতি বিঘায় ৩/৪মন ধান বেশী পাবো। বাজারে দামও রয়েছে ভালো। উৎপাদিত ফসলে বিঘা প্রতি সার, ঔষধ, শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। সেই খানে বিঘা প্রতি ধান বিক্রি করতে পারছে ১৪ হাজার টাকায়। ফসলী মাঠে পোকা মাকড়ের আক্রমনও এবারে কম হয়েছে বলে কৃষকেরা জানান।  এ বিষয়ে ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন, কামাল হোসেন, কামরুল ইসলাম ও আনোয়ারুজ্জামান বলেন, অন্যসব বছরের চেয়ে এবারে আমনের ফসল খুবই ভালো হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোন রোগবালাই ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে কৃষক তাদের কাংঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে। কৃষি অফিস থেকে ইতিমধ্যে এসব চাষিদের বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক পরামর্শের কারণেই ভালো ফসল ফলাতে সক্ষম হয়েছে কৃষকরা।   এ সম্পর্কে দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ কিশোর আহমেদ বলেন, এবারে এ উপজেলায় কৃষক ২ হাজার ৯শ ৭৭ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করেছেন। এ অঞ্চলে উফসী জাতের ধান একটু আগে ভাগেই কর্তন শুরু হয়। তবে স্থানীয় জাতের আমন কাটা শুরু হয়েছে। বেশীরভাগ জমিতে ভালো ফলন হয়েছে তবে দিঘলিয়া, দেয়াড়া, ব্রহ্মগাতী, পানিগাতী, লাখোহাটি, হাজীগ্রাম, মোমিনপুর, নন্দনপ্রতাপ এই ৮টি গ্রামে বেশী ভালো ফসলের আশা করা যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক তাদের সম্পুর্ণ ধান ঘরে তুলতে পারবেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে